পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিসর্জন । দিয়া তরুলতা উঠিয়া দাড়াইল । বালক-বালিকারা আনন্দে চীৎকার করিয়া বলিল, “মামা বাবু! ওরে মামা বাবু ce Cric " বিহারীলাল হারমোনিয়ম রাখিয়া বলিলেন, “আরো কেও শশাঙ্কবাবু যে ? এস এস, তুমি বাড়ী ছিলেন, আমার ছুটিটা বৃথা কাটিয়া গেল।” বহুকাল পরে শ্যালক ও ভগিনীপতির সম্মিলনে শুষ্ঠালক অন্তরে তৃপ্তিলাভ করিতে পারিল না । তাহার হৃদয় সংশয়ের তীব্র যন্ত্রণায় জলিতেছিল। কিন্তু সংসার ও সমাজের বিধান বড় কঠোর । অন্তরের জ্বালা বাহিরে প্রকাশ করিবার অধিকার নাই। সুতরাং শশাঙ্ক মুখের উপর ক্লন্ত্রিম হাসি ফুটাইয়া আনন্দ প্ৰকাশ করিবার চেষ্টা করিল। শৈলবালা স্বামীর আগমনে লজ্জায় সঙ্কুচিত হইয়া পলায়নের উপক্রম করিল ; কিন্তু বিহারীবাবু বাধা দিয়া সহস্তে বলিলেন, “সে কি হয় বৌদি, তুমি গেলে আমাদের সমস্ত আমোদটাই মাটী হ’য়ে যাবে। এখন কাহাকেও যাইতে দিব না। আজ যুগল রূপ না দেখিয়াই ছাড়িয়া দিব ?” তরুলতা ও শৈলবালা অগত্যা অবগুণ্ঠনে মুখমণ্ডল আবৃত করিয়া একাধারে বসিয়া রহিল। বিহারীবাবু হরমোনিয়মে সুর দিয়া গাহিলেন “আমি নিশিদিন তোমায় ভালবাসি, , তুমি অবসর মত বাসিও ” ክ”ቅ