있 জবর ও কোহাইবের বিষয় । অস্বীকৃত হওয়াতে প্ৰভু তাহাকে অনেক যন্ত্রণ দিয়াছিলেন। এক সময়ে তিনি ২৪ ঘন্টা পৰ্য্যস্ত বিলালকে অনাহারে রাখিয়া . পর দিবসে দুই প্রহর সময়ে তপ্ত বালুকার উপর গুয়াইয় বক্ষস্থলে পাথর চাপাইয়া দিলেন। এই সকল দুঃখ পাইয়াও বিলাল প্রতিমাপুজা করিতে স্বীকার করিল না। অরুিবকর সেই স্থানে আসিয়া তাহার ঐ সকল যন্ত্রণ দেখিয়া প্রভূর নিকটহইতে তাহাকে ক্রয় করিয়া দাসত্বহইতে মোচন করিলেন । মহম্মদ নূতন ধৰ্ম্ম প্রকাশ করিব মাত্র বিলাল তাহ অবলম্বন করিল। তৎপরে সে প্রাতঃকালীন প্রার্থনার মুয়াজিন হইল, অর্থাৎ লোকদিগকে প্রার্থনায় আহ্বান করিত। জবর নামে এক জন খড়ননির্মাণকারি গ্রীস দেশীয় খ্ৰীষ্ট্রিয়ান মহম্মদীয় ধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়াছিল; কিন্তু সে তন্নিমিত্তে অনেক যন্ত্রণ পাইয় তাহা পরিত্যাগ করিল। তৎপরে, তাহার প্রভুও মুসলমান হওয়াতে জলর পুনৰ্ব্বার ঐ ধৰ্ম্মাক্রাস্ত হইল। গ্রীস দেশীয় কোঁহাইব নামে অন্য এক জন খ্ৰীষ্ট্রিয়ান মুসল্যান ধৰ্ম্ম গ্রহণ করিল। সে যৌবনাবস্থায় আপন দেশহইতে পলাইয়। মক্কানগরে উপস্থিত হইয়। আরবীয় ভাষা এমত শুদ্ধ ৰূপে শিক্ষা করিয়াছিল, যে অনেকে তাহাকে আরবীয় লোক বোধ করিত। তৎপরে কোহাইব অনেক ধন উপার্জন করিল। কোরেশ ধংশীয়দের দ্বারা সে ধর্মের নিমিত্তে বহু প্রকারে তড়িত হইয়াছিল। মহম্মদ যখন মক্কাহইতে মদীনাতে প্রস্থান করেন, সেই সময়ে ঐ ব্যক্তি র্তাহার সঙ্গে যাইতে উদ্যত হইলে কোরেশ লোকের কহিল, ‘তুমি এখানে থাকিয় ধনী হইয়াছ, অতএব এস্থানহইতে গেলে তোমার অস্তৃতজ্ঞতা প্রকাশ
