পাতা:মহম্মদের জীবনচরিত্র ও মহম্মদীয় রাজ্যের পুরাবৃত্ত.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রশেহত হওমের ফল। মাসিক ও কর্ণ ছেদন করিয়া আপনাদের কণ্ঠে মাসিকার মালা ও হস্তে কর্ণের মালা গাঁথিয়া দিল । ওহদ রণে মহম্মদের পিতৃব্য হামজা আর ৭ জন মুসলমান সেন এবং শক্ৰদের মধ্যে ২৩ জন হত হয়। হামৃদ নাম্নী এক জন স্ত্রী উক্ত হামজার হৃদয় বিদারণ করিয়া ভক্ষণ করিল। মহম্মদের মৃত্যু হইয়াছে, কোরেশের ইহা বোধ করিয়া তৎকালে মদীনায় গমন করে নাই, নতুবা একেবারে মহম্মদীয় ধৰ্ম্ম লোপ করিতে পারিত । t মদীনাস্থ লোকের পরাজয় মানিয়া ক্রুদ্ধ ও ত্রস্ত হইলে মহম্মদ তাহাদিগকে শাস্ত করণার্থে কহিলেন, সকলের “ মৃত্যুকাল নিৰূপিত আছে, তাহাতে পলায়ন করিলে কেহ নিস্তার পাইবে না। আর যাহার ধর্মের নিমিত্তে যুদ্ধ করিয়া মৃত হয়, তাছার স্বর্গে গিয়া প্রত্যেকে ৭২ হুরী-কিনা অঙ্গর কর্তৃক সেবিত হইয়া ধৰ্ম্মজয়ির মুকুট প্রাপ্ত হইবে, এবং এক প্রকার সবুজ পক্ষির গলার থলিতে বাস করিবে। ঐ অঙ্গরীদিগের চক্ষু কৃষ্ণবর্ণ ও উত্তম মুক্তার সদৃশ উজ্জ্বল, এবং তাঙ্গাদের শরীর কস্তুরীতে নির্মিত।” মহম্মদ মৃত সৈন্যদিগের উদেশে তাহাঁদের আত্মীয়দিগকে রোদন করিতে অনুমতি দেন বটে, কিন্তু শোকে কেশ ও বস্ত্র ছিড়িতে নিষেধ করেন ; ভিণি কহিতেন, “ সমরে সংহত ব্যক্তির স্বৰ্গস্থ হইয়া পরম মুখে থাকে। কেহ নিৰূপিত কালের পুৰ্ব্বে মরে না ; কিন্তু সময় উপস্থিত হইল অপুৰ্ব্ব শয্যায় শয়ন করুক কিম্বা যুদ্ধে সমুপস্থিত হউক, অবশ্য মৃত্যু প্রাপ্ত হবে ; ইহাতে কোন जएमाङ् मोहे ।'