পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম পরিচ্ছেদ দক্ষ, প্ৰেমিকের প্রতিচ্ছায়া—প্রেমের অবস্থা তাহাতে পতিত ও প্ৰকাশিত হইবেই হইবে । যে বৰ্ণে বস্ত্ৰ রঞ্জিত করিতে হইবে বস্ত্ৰে তাহা প্ৰক্ষিপ্ত হইলে সেই বৰ্ণ কি তাহাতে প্ৰতিফলিত হয় না ? রঞ্জিত বস্ত্ৰ সবাই দেখে, দেখিয়া প্ৰশংসা করে, কিন্তু সে রঙ কেমনে আসিল, কোথা হইতে আসিল, কে রঙ ধরাইল ? সেটা কেহ তলাইয়া বুঝিতে চায় না—সে দিকে মন দেয় না । ভাই শিবলী ! বল দেখি আমি কি পৃথিবীতে সত্য গোপন করিয়া যাইব ? অার সত্য গোপন করিবই বা কেমন করিয়া ? সত্য গোপনে যে মহাপাপ ! অন্তরে যে ভাব, যে তাহা মুখে ব্যক্ত না করে, সেই কপট কুকুরের দয়াময়ের দ্বারস্থ হইবারও অধিকার নাই । আমার অচিরস্থায়ী দেহের পতন হয় হউক, ক্ষতি কি ? তাহার সুখ-সাধনোদেশে এই পাপে অবিনশ্বর আত্মাকে কলুষিত করিতে আমি সন্মত নহি । আমি কখনই এই সত্য প্রচারে পরাজখ হইব না ; কাহারও কথা শুনিব না, কোনও প্ৰতিবন্ধক মানিব না ; তাহাতে জগৎ শত্ৰু হয়, হউক ; খলিফা যে শাস্তি দিবেন, দিউন ; অবনত মস্তকে সহাস্তে সাগ্ৰহে তাহা গ্ৰহণ করিতে প্ৰস্তুত আছি, তজন্য দুঃখ প্ৰকাশ বা একটী প্ৰতিবাদও করিব না । তাই বলিতেছি, প্রিয় সখে ! প্ৰাণপণে অতি করিয়া যতন কি আর অধিক বুঝাবে বল ; বুঝিবার যাহা, বুঝিয়াছি তাহা, তার চেয়ে নাহি বুবিতে বল ।