পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১০১ নবম পরিচ্ছেদ বাস করে । কিন্তু বলুন দেখি, আপনি কোন বিশ্বাসের উপর নিৰ্ভর করিয়া এবং কি জন্য তাহা প্ৰকাশ করিয়া স্বেচ্ছায় দসু্য তস্করের কোপদৃষ্টিতে পড়িলেন ? অাজ প্ৰায় পঞ্চাশ বৎসর কাল অতীত হইতে চলিল, জ্বালাময় অনলরাশি অন্তরে ধারণ করিয়া আপনি অবিচলিতভাবে অবস্থান করিয়া আসিতেছেন ; কখনও আপনার স্বাভাবিক ভাবের পরিবৰ্ত্তন বা ব্যত্যয় ঘটিতে দেখি নাই ; কখনও আপনার সাধক-জনোচিত সহিষ্ণুতার লাঘব হইতে শুনি নাই । কিন্তু হায় ! সংপ্ৰতি এ কি অজ্ঞানান্ধের ন্যায় কাৰ্য্য করিয়া বসিয়াছেন ? এই অসহিষ্ণুতার—উন্মত্ততার কারণ কি ? যাহা এত দিন অন্তরে রাখিয়াছিলেন, তাহা অন্তরেই পোষণ করিয়া রাখা কি উচিত ছিল না ? এক্ষণে অধিক আর কিছু বলিবার সময় নাই, স্থিরচিত্তে আমার কথা শ্ৰবণ করুন। যে উক্তি লোকের শ্ৰবণকঠোর বোধ হয়, সমাজ যাহাতে অধৰ্ম্ম বিবেচনা করেন, যাহার প্রশ্ৰয় দিতে বালবৃদ্ধ কেহই সন্মত নহেন, আপনি এৰূপ উক্তির উচ্চারণে ক্ষান্ত থাকিয়া আপনাকে বিপন্মুক্ত করুন, ইহাই আমার অনুরোধ ।” মনসুর আদ্যোপান্ত শ্ৰবণ করিয়া দীৰ্ঘনিশ্বাস পরিত্যাগপূৰ্ব্বক ক্ষণকাল নীরব রহিলেন । পরে মৃদুস্বরে কহিলেন, “যদি মূৰ্খতাই না করিব, যদি আমার ধৃষ্টতাই না হইবে, তবে আজ দুৰ্দশার চরম সীমায় উপস্থিত হইব কি জন্য ? নরচক্ষে—নরের বিচারে অপরাধ করিয়াছি বলিয়াই তো আমি অপরাধী ! নতুবা নিরপরাধের কেশপম্পৰ্শ করে কাহার সাধ্য ? কিন্তু জানিবেন,