পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

নিবেদন

অনেক দিন পূর্ব্বে এই গ্রন্থ লিখিত হইয়াছিল, কিন্তু নানারূপ ভবিষ্যৎ ভাবিয়া ইহা তৎকালে প্রকাশ করিবার ইচ্ছা করি নাই। সম্প্রতি কয়েক জন গুণগ্রাহী বন্ধু ইহার হস্তলিপি দৰ্শনে মুদ্রাঙ্কনার্থ উপদেশ দেন। তাঁহাদের উৎসাহে প্রোৎসাহিত হইয়া আজ আমার পূর্ব্ব মত পরিত্যাগ করিতে বাধ্য হইলাম,—গ্রন্থ প্রচারিত হইল। কিন্তু অদৃষ্ট কি আছে, কে বলিতে পারে?

 ইহা কোন গ্রন্থ-বিশেষের অনুবাদ নহে। একখানি উর্দ্দু, পুস্তিকার মর্ম্মাবলম্বনে অন্যান্য গ্রন্থের সাহায্য লইয়া স্বাধীনভাবে রচিত হইয়াছে। সাময়িক রুচির অনুরোধে স্থানে স্থানে নূতন বর্ণনার সংযোগ করা গিয়াছে। বোধ করি, ইহাতে অন্যায় কিছুই হয় নাই। এক্ষণে এতদ্বারা সেই সাধুকুলশিরোমণি মহাত্মা হোসেন মন্‌সুরে পবিত্র নামের পাছে কোন অসম্ভ্রম, ইহাই ভাবিয়া আতঙ্কিত হইতেছি। গ্রন্থ-মধ্যে কোন কোন স্থলে ধর্ম্ম সম্বন্ধে দুই একটী কথার উল্লেখ আছে। যদি অজ্ঞানতা বশতঃ কুত্রাপি কোনরূপ দোষাশ্রয় ঘটিয়া থাকে, তবে দয়াময় জগদীশ্বর যেন এ দীন অজ্ঞানান্ধের সে অপরাধ ক্ষমা করেন, ইহাই সানুনয় প্রার্থনা। সহৃদয় মুসলমান সমাজও উক্ত ক্রটি পরিহাৱার্থ বা ইহার ভ্রম-প্রমাদ পরিবর্জ্জন ও উৎকৰ্ষ বিধানার্থ বন্ধুভাবে উপদেশ দিলে আমি চিরকৃতজ্ঞ রহিব। এক্ষণে দয়াময়ের কৃপায় ইহার উপর সাধারণের স্নেহদৃষ্টি পড়িলেই আমার পরিশ্রম পুরস্কৃত হইল, বিবেচনা করিব।

 পরিশেষে বক্তব্য এই যে, ইহার রচনাকালে শান্তিপুর জুবিলী মাদ্রাসার পারস্য- শিক্ষক জনাব হাজী মৌলভী মোহাম্মদ অবায়েদুল্লাহ্‌ সাহেবের অনেক সাহায্য পাইয়াছি। তজন্য তাহার নিকট কৃতজ্ঞ রহিলাম।

শান্তিপুর—নদীয়া
৯ই আষাঢ়; ১৩৭৩
বিনীত—
মোজাম্মেল হক্‌