পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম পরিচ্ছেদ সুধীবর শেখ কবিরের সহিত মহৰ্ষির বাক্যালাপ সাঙ্গ হইলে চারিদিক হইতে জনসজস্ব কোলাহল করিয়া উঠিল । অনেকে মন্‌সুরের কথিত মতে ফতোয়াপ্ৰাথী হইয়া আগন্তুক শেখ সাহেবকে বেষ্টন করিয়া দাড়াইল । কিন্তু তিনি নীরব ও নিস্তদ্ধ । তাহার মুখ মলিন—শুষ্ক । তাহার অন্তর বেদনা-ভারে নত— চিন্তার প্লাবনে অশান্ত । কিয়ৎক্ষণ পরে তিনি সৰ্ব্বসমক্ষে দণ্ডায় মান হইয়া আকুলকণ্ঠে কহিলেন, “হে বাগদাদের ইসলাম-সন্তান গণ৷ ! মহাপ্ৰাণ মনসুরের সহিত যে সমস্ত কথা হইল, তাহা আপনারা সকলে শ্ৰবণ করিয়াছেন । তিনি আজ আপনাদের নিকট বন্দী—শৃঙ্খলাবদ্ধ, কিন্তু তাহার প্রাণ—তাহার আত্মা মুক্ত—স্বাধীন । তাহার গুপ্তাবস্থা—আন্তরিক ভাব সেই সৰ্ব্বজ্ঞ খোদা-তা’লাই অবগত আছেন । তাহাতে তিনি অপরাধী কি না, তাহা তিনিই জানেন । তবে প্ৰকাশ্য অবস্থার দিকে দৃষ্টি করিলে তিনি যে আমাৰ্জ্জনীয় অপরাধে অপরাধী, তাহাতে সন্দেহ নাই । পবিত্ৰ শরিয়তের বিচারে সেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত-স্বরপ প্ৰাণ দণ্ডের বিধান আছে। কিন্তু তজজন্য এত উতলা—এত ব্যাকুল কেন ? যিনি খোদার পথে স্বয়ং আত্মবিসৰ্জন করিতে প্ৰস্তুত, তাহার প্রতিকুলে ব্যবস্থার আবার কি প্রয়োজন ? বিচারপতি কাজীই বা তাহার কি বিচার করিবেন ? তিনি তো আপনার বিচার আপনি করিয়া রাখিয়াছেন ! তোমরা যাহা চাহিতেছ,