পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১০৭ দশম পরিচ্ছেদ ও প্রণয়াস্পদ নিয়ত নিৰ্ভয়ে প্ৰণয়াৰ্ণবে নিমগ্ন থাকিবেন, আজ তাহার সূচনা হইতেছে । বিরহের বিষম চিন্তা আজ চিরবিদায় গ্ৰহণ করিবে । বহু দিন হইতে যে হৃদয় শূন্য ছিল, আজ তাহা পূৰ্ণ হইতে চলিল । দগ্ধ ক্ষতে শান্তিসুধার বৰ্ষণ হইতেছে । আজ খোদার অপার কৃপায় সাধকের চিরাভিলাষ সিদ্ধ হইতেছে।” এই প্ৰকার বহু বাক্যে যাবতীয় লোক, কেহ সুভাবে, কেত বা রহস্য ও অসূয়াপরবশ হইয়া পরিহাস-প্ৰকাশক কণ্ঠে যাহার মুখে যাহা আসিল, সে তাহাই করিতে লাগিল। কিন্তু দৃশ্যটিী কি লোমহৰ্ষণ ! ঘটনাটা কি নৃশংস ! কাৰ্য্যটী কিৰূপ মৰ্ম্ম স্পেশী বেদনা-ব্যঞ্জক ! সে দিকে কাহার দৃষ্টি নাই ; কাৰ্য্যের গভীরতা পরিমাণ করিতে ও পরিণাম চিন্তা করিতে সকলেই অক্ষম । হা খোদা ! হে প্ৰেমময় পরাপর প্রভো ! প্ৰেমের কি পরিণাম এই ? প্রেমিকের পুরস্কার কি এইরুপেই হইয়া থাকে ? তুমি না রহমান—তুমি না রহিম ! এই কি তোমার ভক্তের প্রতি রহম ! তোমার প্ৰেমে অাবদ্ধ প্ৰেমিকগণ চির কাল সুখ-শাস্তিতে থাকিতে না পারিলেও লোকের ভক্তি, শ্ৰীতি ও সম্মান লাভ করিয়াই আসিয়াছেন ; কিন্তু কাহাকে কবে বিপক্ষের চক্ৰান্তে এহেন নিষ্ঠুরাপে জীবন বিসৰ্জন দিতে হইয়াছে ? আহা ! অাজের এ ঘটনা নিখিল ধরণীধামে অভিনব, অলৌকিক, অদৃষ্ট ও অশ্ৰুতপূৰ্ব্ব । - ধন্য মহৰ্ষি মনসুর । ধন্য

  • মহাত্মা যীশুখৃষ্ট ( হজরত ঈসা) শত্ৰু কৰ্ত্তক শূলে অারোপিত হইয়া মৃত্যুমুখে

পতিত হন নাই, তিনি পলায়ন করিয়াছিলেন ; ইহাই অনেক ইতিহাস-তত্ত্বজ্ঞের