পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহৰ্ষি মন্‌সুর ১১২ উপর আরও প্ৰস্তর পতিত হইতে লাগিল । কিন্তু সেই সাংঘাতিক আঘাতেও তাহার দৃকপাত নাই, সাধন-সহিষ্ণুতার ফলে তাহার মনের ভাব পূৰ্ব্ববৎ অটল, তুষ্টিজনক ও বিকারহিত ! বিষাদের কালিমা-রেখার পরিবর্তে হাস্যের আনন্দলহরীতে ভঁাহার বদন-মণ্ডল সুশোভিত । কেননা শত্ৰুনিক্ষিপ্ত সেই কঠিন প্ৰস্তরখণ্ডসকল তাহার কোমলাঙ্গে প্ৰস্তুটিত পুম্পের ন্যায় হাসিয়া হাসিয়া পড়িতেছিল এবং তজনিত আঘাত তিনি সুকোমল কুসুমস্পৰ্শতুল্য সুখদ জ্ঞান করিতেছিলেন ! এই সময়ে অার একটী বিস্ময়জনক ঘটনা সংঘটিত হইল । মহৰ্ষির প্রিয় সখা শেখ শিবলী তাহার উপরে একটী পুষ্প নিক্ষেপ করিলেন । সেই পুষ্পাঘাতে তিনি মৰ্ম্মান্তিক কাতরতা প্ৰদৰ্শন করিলেন । প্রস্তরাঘাতে আনন্দ এবং পুষ্পাঘাতে যাতনা ! প্রকৃতই ইহা বিস্ময়ের কথা বটে। ইহার কারণ জিজ্ঞাসিত হইলে মহৰ্ষি সহৰ্ষে বলিলেন , “জানিও, ধৰ্ম্ম-মৰ্ম্মহীন অপ্ৰেমিক অত্যাচারীর প্রহর হইতে আমি বিমুক্ত—স্বাধীন। অন্ধের লক্ষ্য কখন কি ঠিক হইতে পারে ? কিন্তু চক্ষুষ্মান ব্যক্তির সন্ধান অব্যৰ্থ ও মারাত্মক । আমার সেই চিরারাধ্য প্ৰেমময় বন্ধুর প্ৰেমিক যিনি, যাহার সহিত আমার অন্তরের নিকট সম্বন্ধ, যিনি আমার ব্যথার ব্যৰ্থী, তিনি তৃণের দ্বারা আঘাত করিলেও কষ্টানুভব হইয়া থাকে ।” পুনঃ প্রশ্ন হইল । শিবলী বলিলেন —“হে প্রিয় তাপস । ‘প্ৰেম’ শব্দটী সৰ্ব্বত্ৰই