পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহৰ্ষি মন্‌স্কর ১১8 হইবে ? সে-নিষেধ মানিয়া সে কি নিরস্ত হইতে পারে ? এ যে রাজার অাদেশ । জল্লাদ তৎক্ষণাৎ সেই পবিত্ৰ কোমল অঙ্গে— আহে৷ সেই সুদুলভ রক্ত-মজা-মাংস-গঠিত শোভন অঙ্গে, কঁাপিতে কঁাপিতে উপযুপরি কোড়ার প্রহার করিতে লাগিল । এক—দুই—তন, এক শত —দুই শত—তিন শত, সহস্ৰ—দুই সহস্ৰ, এক এক করিয়া ক্ৰমে সমস্ত আঘাতই ফুরাইয়া গেল । সহস্ৰ সহস্ৰ মানব সেই দারুণ দৃশ্য দৰ্শন জন্য নিৰ্ণিমেঘনত্ৰে দণ্ডায়মান । কিন্তু সঙ্কল্প নিস্কল, সমস্তই বৃথা ! মহৰ্ষি স্থির শান্ত ! তাহার গাত্ৰচৰ্ম্ম ফুটিয়া রক্তধারা বিচ্ছুরিত হইল বটে, সৰ্ব্বাঙ্গ লোহিত বৰ্ণ ধারণ করিল বটে, কিন্তু তাহাতে তাহার বেদনা-ব্যঞ্জক ভাব কোথায় ? সে । বদনমণ্ডল অমান— প্ৰফুল, অন্তর কাতরতার লেশ-শূন্য ! ইহা দেখিয়া দুরন্ত লোকেরা ক্ৰোধে স্বীত হইয়া আবার তাহাকে পাথর ছুড়িয়া মারিতে আরম্ভ করিল। তদৰ্শনে মহৰ্ষি আর মুহূৰ্ত্ত বিলম্ব করিলেন না, শিলাবৃষ্টির মধ্য দিয়া শূলদণ্ড চুম্বনপূৰ্ব্বক স্বয়ং বধ-মঞ্চে আরোহণ করিলেন । তখনও প্ৰস্তর-পতনের বিরাম নাই, তখনও নিষ্ঠরদের ক্ৰোধের উপশম হয় নাই ! কিন্তু সকলে তাহার অবিচলিত ধৈৰ্য্য ও অমান মূৰ্ত্তি দেখিয়া চমৎকৃত হইল। আর যাহারা করুণপ্ৰাণ, ধৰ্ম্ম-পথের পথিক, তাহাদের অন্তর চূৰ্ণ হইয়া গেল,—নয়নে দরদরধারে অশ্ৰ বারিতে লাগিল । অনন্তর মহাতপা মনসুর খোদা-তা’লার উদ্দেশ্যে উৰ্দ্ধমুখে হস্ত উত্তোলন করিয়া মনাজাতের পর গভীর স্বরে “হক্‌ হক্‌