পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহৰ্ষি মন্‌সুর ১১৬ বিপক্ষদল এই দৈবঘটনায় বিস্মিত, স্তম্ভিত, ভীত ও নিতান্ত মৰ্ম্মপীড়িত হইয়া অধৈৰ্য্যের সহিত উচ্চৈঃস্বরে জল্লাদকে কহিল, “অরি বৃথা বিলম্বের প্রয়োজন কি ? তার বিড়ম্বনা কি জন্য ? উহার প্রাণবায়ু যত শীন্দ্ৰ দেহ-বাস শূন্য করিয়া অনন্ত বায়ু সাগরে মিশিয়া যায়, ততই মঙ্গল, তুমি তাহারই আয়োজন কর । ইহার সৰ্ব্বাঙ্গ তীক্ষুধার অস্ত্ৰাঘাতে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করিতে— অস্থি-সন্ধি পৃথক ও চূৰ্ণ করিতে আর ক্ষণমাত্ৰ বিলম্ব করিও না ।” উঃ কি নিদারুণ কথা ! পাষাণহৃদয় নিৰ্ম্মমগণের কি নিষ্ঠ ব্লাদেশ ! কি অমানুষিক পৈশাচিক অত্যাচার !! শুনিলে অন্তরাত্মা উড়িয়া যায়, সৰ্ব্বাঙ্গ শিহরিয়া উঠে, শোণিত বিশুদ্ধ হয়, নিতান্ত কঠোর প্রাণও দয়ায় দ্রবীভূত হইয়া থাকে। আহা৷ তৎকালে তথায় কি কেহই ছিল না,—মহৰ্ষির মহিমা বুঝিতে— গৃঢ় উক্তির মৰ্ম্মগ্ৰহ করিতে যথাৰ্থ জ্ঞানী পুরুষ,—-নৃশংস হত্যা কাণ্ড হইতে ধাৰ্ম্মিককে রক্ষা করিতে সাহসী নরশাৰ্দ্দল কেহই কি বিদ্যমান ছিল না ? বড়ই ক্ষোভের কথা, বড়ই পরিতাপের বিষয় ! লেখনি ! ভস্মীভূত হও, মস্যাধারে মসী বিশুদ্ধ হউক । হস্ত ? অাজ অচল হও, এই ভীষণ শোকের কাহিনী বৰ্ণনা করিতে আর অগ্রসর হইও না ! বিধাতঃ ! এই কি তোমার ভক্তগত প্ৰাণ ? এই কি তোমার আনুগতের কুশল-সাধন ? এই কি তোমার বন্ধুত্বের প্রতিদান ? ক্ষুদ্ৰ নর আমি, বুঝিতে পারিলাম না প্ৰভো ! এ তোমার কেমন কৌতুকাবহ লীলাখেলা ! প্রিয় পাঠক ! আসুন একবার মনশ্চক্ষে নিরীক্ষণ করুন