পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৭৭ উপসংহার ও কৰ্দমাক্ত হইল, কেহ কেহ বা অন্য কাহারও বস্ত্ৰ বা হস্তাদি ধরিয়া আপনাপন প্রাণরক্ষায় চেষ্টিত হইল। “পলাও—পলাও” ভয়ানক কোলাহলসহ জলোচ্ছাসের অগ্ৰে মানব-স্ৰোত বহিয়া চলিল । এদিকে মহৰ্ষির জনৈক প্রিয় শিষ্য এই ভীষণ ঘটনায় শান্তি স্থাপনাৰ্থ সত্বর তথায় উপনীত হইলেন । মহৰ্ষি জীবনকালে একদা এই শিষ্যকে বলিয়াছিলেন , “আমার ছিন্নবিছিন্ন অঙ্গ প্ৰত্যঙ্গ নদীতে নিক্ষিপ্ত হইলে যখন বারিাশি স্বীত হইয়া লোকদের অনিষ্ট কামনায় প্ৰধাবিত হইবে, তখন তুমি আমার জীৰ্ণ খেৰ্কা’ ( বৈরাগ্য-বস্ত্ৰ ) অবিলম্বে জলোপরি নিক্ষেপ করিবে, তাহাতে উচ্ছসিত জলরাশি অবনত ও শান্ত হইয়া স্বস্থানে প্ৰস্থান করিবে এবং সমবেত ব্যক্তিবৰ্গও অনিষ্টের হস্ত হইতে পরিত্ৰাণ পাইবে ।” মহৰ্ষির এই উপদেশানুসারে তঁাহার সেই শিষ্য যথাকালে সেই পবিত্ৰ ‘খেৰ্কা’ ক্ষিপ্ৰহস্তে উত্তাল তরঙ্গোপরি নিক্ষেপ করিলেন। কি আশ্চৰ্য্য ! অমনি উচ্ছাস উদ্ধত জলরাশি প্ৰশান্তভাবে নিস্তব্ধতা অবলম্বনে স্বস্থানে ফিরিয়া গিয়া স্বাভাবিক অবস্থায় অবস্থিত হইল—যেন উৰ্দ্ধোথিত অনল শিখায় বারিবৃষ্টি হইল, ক্ৰোধোদীপ্ত বিস্তৃতফণ ফণীকে মন্ত্ৰমুগ্ধ করিল । হায়, সব ফুরাইল । পাঠক ! এক্ষণে বলুন, ইহা কি মহৰ্ষির মাহাত্ম্যের পরিচায়ক নহে ?—াহার অকৃত্ৰিম ধ্যান-ধারণার জাজল্যমান প্ৰমাণ নহে ? জনসাধারণে অবশেষে বিপন্মুক্ত হইয়া স্থিরচিত্তে এই অত্যাশ্চৰ্য্য