পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ভূমিকা

“কহে মন্‌সুর সুন্‌ কাজী, গায়ের কা পেয়ালা মাৎ পি।

‘আনাল হক্‌’ পর হো তু সাবিদ, ওহি কল্‌মা পঢ়াতা যা।”[১]

আজ অতীব আনন্দের সহিত এই মুখবন্ধ লিখিতে প্রবৃত্ত হইলাম। এই শ্রেণীর এবংবিধ আনন্দ আমি ইতিপূর্ব্বে কখন অনুভব করিয়াছি বলিয়া মনে হয় না। কেন যে আমার প্রতি এই ভার অর্পিত হইয়াছে, কিছুই জানি না। যেহেতু আমার দৃঢ় ধারণা যে, আমি কোন প্রকারেই এই মহৎ কার্য্যের উপযুক্ত নহি। যে মহাপুরুষের জীবন চরিত এই গ্রন্থের বর্ণনীয় বিষয়, তাহার পবিত্র নাম উচ্চারণ করিবার অধিকার এ রসনায় আছে কি না, সমূহ সন্দেহ। তবে কেন যে এই কাজে হাত দিতে হইল, তাহা বিধাতাই জানেন। সুপণ্ডিত ধর্ম্মপ্রাণ গ্রন্থকর্ত্তা অনুগ্রহ করিয়া আমাকে ইহার ভূমিকা লিখিতে অনুরোধ করায় আমি গেীরবান্বিত হইয়াছি। আমি এই কার্য্য সুসম্পন্ন করিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করিব।

 প্রায় সহস্ৰ বৎসর অতীত হইতে চলিল, মুসলমানগণ পুণ্যভূমি ভারতে প্রথমে পদাৰ্পণ করেন। এই সুদীৰ্ঘ কাল মধ্যে তাঁহারা লক্ষ লক্ষ ভারতসন্তানকে আপনাদের ধর্ম্মে দীক্ষিত করিয়া ইসলাম শিষ্যগণের সংখ্যা বৃদ্ধি করিতে প্রয়াস পাইয়াছিলেন। তাহার ফলে

  1. মনসুর কহেন, শুন কাজি, অপরের পেয়ালা পান করিও না। সোহহম্‌বাদের উপর দণ্ডায়মান হইয়া সেই মন্ত্র পড়াইতে থাক।