পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিকা চিত্তের এমন একটা অভাবনীয় পরিবর্তন ঘটে যে, তদৰ্শনে তাহার আত্মীয় বন্ধুবৰ্গ আশ্চৰ্য্যান্বিত হইয়াছিলেন। তাহার সেই পরিবর্তন ও অলৌকিক কাৰ্য্যকলাপ পৰ্য্যবেক্ষণে অনেককেই তাহাবু নিকট নতমস্তক হইতে হইয়াছিল । ধনকুবের বা পদ-মৰ্য্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিগণ পৰ্য্যন্ত মনসুরকে দেখিলে যেন উপর হইতে কোন শক্তি দ্বারা পরিচালিত হইয়া সমুচিত সন্মান দিতে বাধ্য হইতেন । এই ভাবে কিছু দিন কাটিয়া যাওয়ার পর মনসুর মক্কা যাত্ৰা করেন । এরুপ শুনা যায় যে , তথায় তিনি এক বৎসরকাল কঠোর তপস্যায় নিমগ্ন ছিলেন—ধৰ্ম্মমন্দির কা’বার সম্মুখে দিবসের প্রচণ্ড রেীদ্রে ও রজনীর শিশিরে বিনা অাচচ্ছাদনে স্থিরভাবে দণ্ডায়মান থাকিতেন । অাহার ছিল দিনান্তে সামান্য এক টুকরা রুটি মাত্ৰ । এই ব্ৰত উদযাপন পূৰ্ব্বক কিছু দিন অজ্ঞাতবাসে কাটাইয়া অাবার মক্কা ধামে গমন করেন । অতঃপর তিনি বহু দেশ পৰ্য্যটন করিয়া অবশেষে ভারতবর্ষে অাসিয়াছিলেন । এখানে আসিয়া কোথায় কি কাৰ্য্য করেন, তাহা জানিবার কোন উপায় নাই। ভারতীয় উৰ্দ্দ, ভাষায় তাহার সম্বন্ধে দুইটী কবিতা মাত্ৰ আমরা শুনিতে পাই । একটী সঙ্গীতাকারে উত্তর-পশ্চিম প্রদেশের বাইজীদের মুখে গীত হইয়া থাকে। অপরটা একটু দীৰ্ঘ— তাহার অদ্বৈতবাদের ব্যাখ্যারাপে মৌলভী সাহেবদের মুখে শুনা যায় ।। তাহারই শেষাংশ প্ৰবন্ধের শিরোদেশে প্রদত্ত হইয়াছে। দেশ পৰ্য্যটনান্তর বাগদাদে ফিরিয়া আসিবার পর মনসুরের ধৰ্ম্মোন্মত্ততার মাত্ৰা বেশী পরিমাণে প্ৰকাশ পাইল । একদা তিনি গুরু জনোদ

  • মোকদ্দা আপনা আপনা আজমা লে সিকা জী চাহে’’ ইত্যাদি ।

+ ‘আগার হায় শওক্‌ মিলনেকা, তো হরদম্ লও লাগাতা বা” ইত্যাদি।