পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহৰ্ষি মন্‌সুর ১8 চিত্তচমৎকারী সোঁন্দৰ্য্যের বিকাশ ! এই বাহ সৌন্দৰ্য্য হইতেই অাবার মানবের মানসিক সৌন্দৰ্য্য গঠিত হয়— মানব অধ্যাত্মিক সৌন্দৰ্য্যে বিভূষিত হইয়া থাকে । তাই বুৰি, এই সিদ্ধ স্থানে অনেক সুফী-সাধু জন্মগ্ৰহণ করিয়া জগতে অমর কীৰ্ত্তি স্থাপন পূৰ্ব্বক চিরস্মরণীয় হইয়া রহিয়াছেন ; তাই বুঝি, এই ভূমির সেই বিশ্ববিদিত শুভ্ৰীশ্ৰী শিরাজ ও তুস নগরের সুসন্তান পারস্য-কাব্য কাননের কোমলকণ্ঠ কোকিল মহাত্মা শেখ সাদী ও মহাকবি ফেরদৌসী তুসী এবং ধৰ্ম্ম প্ৰাণ মহৰ্ষি খাজা হাফেজ শিরাজী এক দিন সুললিত তানে বিশ্ব-বসুধা মাতোয়ারা করিয়া তুলিতে সমৰ্থ হইয়াছিলেন । আহা এহ্মণে তাহারা সেই ভূমিতেই কত কত মহাপ্ৰাণ সুধী পুরুষের সহিত চিরবিশ্ৰাম লাভ করিতেছেন । ইরাণের এই গৌরবমণ্ডিত প্রদেশের সান্নিধ্যে বয়জা নামে একটী পল্লী অবস্থিত। ইহা অন্য রাজ্যের অন্তৰ্গত হইলেও বাগদাদ নগর হইতে অধিক দূরবী নহে। পূৰ্ব্ব কালে এই বয়জা পল্লীতে মনসুর নামে এক অতি ধৰ্ম্মশীল বিচক্ষণ ব্যক্তি বাস করিতেন । সত্যনিষ্ঠা ও সচ্চরিত্ৰতা গুণে পল্লীস্থ আবাল বৃদ্ধবনিতা সকলেই তাহার প্রতি আন্তরিক ভক্তি ও প্ৰীতি প্ৰদৰ্শন করিতেন । শাস্ত্ৰানুমোদিত ধৰ্ম্ম-কৰ্ম্মসমূহ নিয়মিতরাপে প্ৰতিপালন করাই তাহার জীবনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল । তাহার পুণ্যহস্ত সাধ্যানুসারে দীন-দরিদ্রের অভাবমোচনে প্ৰশস্ত ও পরোপকারে উন্মুক্ত থাকিত । তিনি ক্ষুধাৰ্ত্তকে আহার, তৃষ্ণাৰ্ত্তকে পানীয় প্ৰদান ও নিঃসহায়কে সাহায্য করাই ধৰ্ম্মের এক প্ৰধান