পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰথম পরিচ্ছেদ বক্ষঃস্থল ভেদ করিয়া নিৰ্ম্মল-সলিলা তরঙ্গিনী দজলা (তাইগ্ৰীস) উভয় তীরস্থিত সোঁধমালার পাদদেশ বিধোঁত করিতে নিয়ত নিরত। সুতরাং ইহার সোঁন্দৰ্য্য-সমৃদ্ধির ইয়ত্তা কোথায় ? ফলতঃ বিধাতার কৃপায় পুণ্য-হস্ত-প্রতিষ্ঠিত এই পুণ্যপ্ৰভান্বিত আদৰ্শ নগর কালে জ্ঞান-বিজ্ঞান-সভ্যতা-শিক্ষার কেন্দ্ৰভূমি, কত শত ধৰ্ম্মাত্মা সুফী-সাধুর লীলা-নিকেতন এবং ন্যায়বিচারক বিচক্ষণ নরপতি ও অদীনপরাক্ৰম বীরবৃন্দের সূতিকাগাররুপে পরিণত হইয়াছিল ; ইহার নিৰ্ম্মল যশ সোঁৱভ ভূমণ্ডলের নর নারীগণকে বিস্মিত ও বিমুগ্ধ করিয়াছিল । মহাপ্ৰাণ মনসুর বাগদাদের দৃশ্য-শোভা এবং নগরবাসীদের অমায়িক ভাব দৰ্শনে মুগ্ধ হইলেন বটে, কিন্তু স্বীয় বাসনা সাফল্যের দিকে আকৃষ্ট থাকায় তিনি ক্ষুদ্ধচিত্তে দিনযাপন করিতে লাগিলেন । পরন্তু এ জগতে মঙ্গলময় বিধাতা কাহারও মনোভিলাষ অসম্পূৰ্ণ রাখেন না । তিনি ক্ষুধাৰ্ত্তকে উপাদেয় আহার, তৃষ্ণাতুরকে সুশীতল বারি, অৰ্থপ্ৰাৰ্থীকে বিপুল বিভব, ভোগবিলাসীকে ব্যসনসামগ্ৰী—ইত্যাদিক্ৰমে পৃথিবীর প্রত্যেক ব্যক্তিকে তাহাদের অভিলষিত দ্রব্যাদি দানে পরিতুষ্ট করেন । তিনি প্ৰাৰ্থনাপূৰ্ণকারী, একমাত্ৰ দাতা ও পরম দয়াল । সুতরাং মনসুরেরও যে এই বাসনা পূৰ্ণ করিবেন, তাহার আর বিচিত্ৰ কি ? সোঁভাগ্যক্ৰমে বাগদাদ নগরেই পবিত্র সৈয়দ-বংশাবতংস খাজা আবুল কাসেম আল জুনেদ শাহ, নামে জনৈক অদ্বিতীয় ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰজ্ঞ পরমপণ্ডিত বাস করিতেন । তৎকালে তাহার সদৃশ