পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহৰ্ষি মনসুর ২২ তদৰ্শী িসদ্ধ পুরুষ আর কেহই ছিলেন না, বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। ধৰ্ম্মের অতি গভীর গৃঢ় বিষয়সমূহ তাহার নিকট নখ দৰ্পণের ন্যায় প্ৰতীয়মান হইত। তাহার শিষ্যশাখাও নিতান্ত কম ছিল না । তিনি নিয়ত তৎসমুদয়ে পরিবৃত হইয়া মহানন্দে শাস্ত্ৰচৰ্চায় ব্যাপৃত থাকিতেন । মনসুর মহাজ্ঞানী সৈয়দ জুনেদ শাহের গুণগ্ৰামের কথা অবগত হইয়া সৰ্ব্ব কৰ্ম্ম পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক অনতিবিলম্বে তৎ সমীপে যাইয়া উপস্থিত হইলেন । অতঃপর সময়ানুসারে অতি নম্ৰভাবে সৈয়দ সাহেবের নিকট স্বীয় মনোভাব ব্যক্ত করিলে সেই মহিমান্বিত মহাপুরুষ মনসুরের প্রস্তাবে সম্মতি প্ৰদান করিয়া কহিলেন,—“ধৈৰ্য্য ও অধ্যাবসায় সহকারে অবস্থান করিলে করুণাময় জগৎ-স্ৰষ্টার কুপায় তোমার বাসনা সফল হইতে পারিবে, সন্দেহ নাই ।” এত অনুকুল বাক্য শ্ৰবণে মনসুরের অানন্দের সীমা রহিল না । তিনি সৰ্ব্বসিদ্ধিকৰ্ত্তা নিখিলনাথকে ধন্যবাদ প্ৰদান করিয়া প্ৰফুল্লচিত্তে দিবা-রজনী গুরু-পদ-সেবায় প্ৰবৃত্ত হইলেন । এইরুপে কিছু দিবস অতীত হইয়া গেল । মন্‌স্বরের ঐকান্তিক ধৰ্ম্মানুরাগ, প্ৰগাঢ় গুরুভক্তি, চিত্তহারী বিনয়-নম্ৰতা এবং অচলা সহিষ্ণুতা দৰ্শনে সৈয়দ সাহেব নিরতিশয় প্ৰীতি প্ৰাপ্ত হইলেন এবং তাহার এতাদৃশ অসহ্য পরিশ্রমের পারিতোষিক প্ৰদান মানসে এক দিবস কৃপাবলোকনে ঈষৎ হাসিয়া কহিলেন ,—“মনসুর ! আমি তোমার ব্যবহারে বড়ই সন্তুষ্ট হইয়াছি। তোমার অধ্যবসায়, তোমার গুরুভক্তি, তোমার ।