মহৰ্ষি মন্সুর নিবিষ্ট থাকিতেন । সে যে কি চিন্তা, তাহা তিনি কাহারও নিকট ব্যক্ত করিতেন না। তাহার অন্তঃকরণে কেবল সেই এক চিন্তা ব্যতীত অপর কিছুই স্থানলাভ করিতে পারিত না । দিবসে অাহারে ব্যস্ত নহেন, নিশিতেও নিদ্ৰা বা বিশ্ৰাম নাই, কেবল অবিশ্ৰান্ত জাগ্ৰদবস্থায় স্তদ্ধভাবে কি যে যোগসাধনে নিরত থাকিতেন, তাহা প্ৰকৃত তত্ত্বজ্ঞানী ভাবুক ব্যতীত অপর সাধারণে বিতে অক্ষম । এই সময়ে মহৰ্ষি সাধু-সহবাসে অধিকতর অভিজ্ঞতা লাভের বাসনায় দেশ-পৰ্য্যটনের কামনা করেন । তদনুসারে তিনি তস্তরে আগমন করিয়া তত্ৰত্য সাধু প্ৰবর আবদুল্লাহ তস্তরীর সহবাসে কিছুদিন অতিবাহিত করেন । তৎপরে বসরা, মক্কা, খোরাসান, শিস্তান, কেরমান, মাওরান্নাহার, ভারতবৰ্ষ প্ৰভৃতি বহু দেশ ও বহু নগর পরিভ্ৰমণ করিয়া বহু সাধু লোকের সংসৰ্গ লাভ করেন । আমরা এস্থলে তঁাহার সেই ভ্ৰমণ-বৃত্তান্তের কয়েকটী অবশ্য জ্ঞাতব্য বিষয় সংক্ষেপে বিবৃত করিলাম । তপোধন বহুবার পবিত্ৰ মক্কাভূমি পরিদৰ্শন ও তথায় অবস্থিতি করিয়া শাস্তের বিধানানুযায়ী ধৰ্ম্মকাৰ্য্য সম্পন্ন করেন । একবার তিনি চারি শত ধৰ্ম্মাৰ্থী সহচর সহ তথায় গমন করেন এবং যথানিয়মে হজ-ব্ৰত পালন পূৰ্ব্বক সঙ্গীদিগকে বিদায় দিয়া স্বয়ং মক্কাবাস করেন । এবার তিনি এই পুণ্যক্ষেত্রে অবিশ্ৰান্ত কঠোর তপস্যায় মগ্ন হইয়া স্বীয় ধৈৰ্য্যশীলতার পরাকাষ্ঠা প্ৰদৰ্শন করিয়াছিলেন । এইরুপ প্ৰসিদ্ধ আছে যে, তিনি সুবিখ্যাত
পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/৪১
অবয়ব