পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহৰ্ষি মনসুর জুনদ শাহকে একটা প্রশ্ন করেন। সৈয়দ সাহেব তদুত্তরে বলেন, “মনসুর ? সাবধান, ধীরতার সীমা অতিক্ৰম করিও না , রসনা শাসনে রাখিও । নতুবা আমি দিব্য চক্ষে দেখিতেছি, কোন দিন তুমি শূলাগ্ৰে আত্ম বিসৰ্জন পূৰ্ব্বক বধ্যভূমি অনুরঞ্জিত কৱিবে ।” প্রশ্নের উত্তরে এই কঠিন কথা শুনিয়া। স্পষ্টবাদী নিৰ্ভীক মনসুর খাজা জুনদ শাহ কে বলিলেন, “হুঁ, অামার সে শুভ দিন নিকটবৰ্ত্তী বটে ; কিন্তু জানিবেন , তৎকাৰ্য্য অনুষ্ঠিত হইবার পূৰ্ব্বে আপনাকে সুফীর পরিচ্ছদ পরিবৰ্ত্তন করিতে হইবে ।” ইহা শুনিয়া শাহ জুনেদ নিস্তদ্ধ ও নিরুত্তর । মনসুর ত্বরিতপদে প্ৰস্থান করিলেন । ফলতঃ গুরু শিষ্য উভয়েরই এই ভবিষ্যদ্বাণী সফল হইয়াছিল । অতঃপর সে ঘটনা পাঠকগণের গোচরীভূত হইবে । অনন্তর সাধক প্রবর নিজৰ্জ্জনে যোগসাধনে উপবেশন করিলেন ; অাহার, বিহার, বিশ্ৰাম, নিদ্ৰা প্ৰভৃতি মানব-স্বভাব-সুলভ যাবতীয় ইন্দ্ৰিয়-সম্পৰ্কীয় কাৰ্য্য হইতে একেবারে বিচ্ছিন্ন রহিলেন । কেবল সেই এক-ই ভাব—সেই ফন্তু নদীর অন্তঃপ্ৰবাহ—সেই বাহ্যজ্ঞানশূন্যতা—সেই ধ্যানস্তিমিত নেত্ৰ ! সেই নীরব ও নিম্পন্দতা ! মশক-মক্ষিকাদির উপবেশনে দূরে থাক, দংশনেও গাত্ৰ সম্পান্দিত নহে। এই অবস্থায় দীৰ্ঘ কাল অতিবাহিত হইয়া গেল। এক দিন, দুই দিন করিয়া ক্ৰমে সপ্তাহ, সপ্তাহের পর পক্ষ, পক্ষের পর মাস, মাসের পর সর, এইরুপে কত দিন, কত সপ্তাহ, কত পক্ষ, কত মাস, কত বৎসর ৩ ০০