পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহৰ্ষি মনসুর বারিনিধির আরোপ ! ইহা কি উন্মত্তের প্রলাপ নহে ? ভক্তের কি এই উক্তি ? কখনই নহে । সকলে ইহা শুনিয়া বিস্মিত ও চকিত হইয়া হতবুদ্ধির ন্যায় নীরবে চাহিয়া রহিল । এদিকে মুহূৰ্ত্তমধ্যে এই সংবাদ নগরময় প্রচারিত হইতে অার বাকী রহিল না । যে শুনে, সেই বিস্মিত, সেই স্তম্ভিত সেই হতচৈতন্য । নানা জনে নানা কথা বলিতে লাগিল । বাগদাদের আবালবৃদ্ধবনিতা সৰ্ব্ব সমাজেই এই একই কথা, একই বিষয়ের আন্দোলন ! কেহ কেহ, “হায় ধৰ্ম্মপ্ৰাণ মনসুর পাগল হইয়াছেন ?” বলিয়া শোক প্ৰকাশ করিতে লাগিল । বন্ধু-বান্ধবও আত্মীয়গণ মনসুরের নিকট উপস্থিত হইয় কহিলেন, “ভাই ! তোমার মনে এ বিকৃতি জন্মিল কেন ? তুমি কি উন্মত্ত হইয়াছ ? তুমি এক জন পরম জ্ঞানী, তোমাকে উপদেশ দিতে যাওয়া আমাদের অনধিকার-চৰ্চা ও ধৃষ্টতামাত্ৰ ! তথাপি কৰ্ত্তব্যের অনুরোধে লিতেছি, “সাবধান, সাবধান ! জানতে, এ ধৰ্ম্মবিগহিত নিদারুণ পাপ কথা ! এ কথা পুনৰ্ব্বার উচ্চারিত হইলে তোমার সমূহ বিপদ উপস্থিত হইবে । এমন কি, ইহাতে তোমার জীবনের আশা পৰ্য্যন্ত বিলুপ্ত হইবার সম্ভাবনা । অতএব স্থির হও, যাহাতে এই কুচিন্তা অন্তর হইতে বিদূরিত হয় এবং চিত্ত প্ৰকৃতিস্থ ও সুস্থ হয়, তদ্বিষয়ে সতৰ্ক ও সচেষ্ট হও । এ উক্তি তোমার পক্ষে, তোমার কেন , জগতের কোন লোকের পক্ষেই মঙ্গলজনক নহে । তাই পুনৰ্ব্বার বলিতেছি, তুমি আপনাকে জগতের শত্ৰু করিও না ।