পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ মহৰ্ষি মন্‌সুরের ধৰ্ম্মোন্মত্ততার বিষয় পুস্তকান্তরে অন্যরাপ বৰ্ণিত হইয়াছে। পাঠক-পাঠিকাগণের অবগতির জন্য সেই কৌতুকাবহ ঘটনাটীও এস্থলে সন্নিবেশিত হইল । ইহা ভারতীয় মুসলমান সাধকবৃন্দের শিরোভূষণ ও তত্ত্ব জ্ঞানের সমুজ্জ্বল সূৰ্য্যস্বরাপ মহিমাৰ্ণৰ সিদ্ধ পুরুষ হজরত খাজা কুতব উদ্দীন বক্তিয়ার কাকী সাহেবের কথা ; সুতরাং বিশ্বস্ত, মূল্যবান ও সারগৰ্ভ, তাহাতে সন্দেহ নাই । তিনি একটী দরবেশ-বৈঠকে নিগূঢ় ধৰ্ম্মতত্ত্বের প্রসঙ্গক্ৰমে এইরুপ প্ৰকাশ করেন যে, মহৰ্ষি হোসেন মনসুরের একটী ধৰ্ম্মপরায়ণা জ্যেষ্ঠা সহোদরা ছিলেন । তিনি নিজৰ্জনে অনন্যমনে যোগ-সাধনের নিমিত্ত নিত্য নিশীথ-সময়ে নগর-বহিৰ্ভাগে এক নিবিড় অরণ্যে গমন করিতেন এবং যথাস্থানে উপবিষ্ট হইয়া ভক্তিপূৰ্ণ হৃদয়ে নিরাময় নিখিলনাথের ধ্যান-ধারণায় নিমগ্ন হইতেন । ইহাই তাহার নিত্য তপস্যার নিয়ম ছিল । উপাসনান্তে যখন তাহার প্ৰত্যাগমনের সময় উপস্থিত হইত, তখন দৈব আজ্ঞায় নিয়োজিত একটা স্বৰ্গীয় দূত সুনিৰ্ম্মল সুস্নিগ্ধ ঐশিক প্ৰেমমূতপূৰ্ণ একটী সুদৃশ্য পানপাত্ৰ হস্তে লইয়া তথায় শুভাগমন করিতেন এবং তাহা সেই পুণ্যবতী রমণীকে অভিবাদন পূৰ্ব্বক প্ৰদান করিতেন। রমণী হস্ত প্ৰসারণপূর্বক পাত্ৰ গ্ৰহণ করিয়া প্ৰফুল্লবদন সেই দিব্য সুধা পান করত গৃহাভিমুখিনী হইতেন ।