পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহৰ্ষি মনসুর তপস্বিনী তপোমা—বাহ্যজ্ঞান-বিরহিতা । তিনি বিশ্ব বিধাতার ধ্যান-ধারণায় দেহ-প্ৰাণ-মন ঢালিয়া দিয়াছেন । নীরব —নিম্পন্দ! প্ৰস্তর-প্ৰতিমার ন্যায় স্থির—যোগোপবিষ্টা । এ যোগ শত বজপাতেও ভঙ্গ হইবার নহে । আহা কি অলৌকিক—কি অনিৰ্ব্বচনীয় তপশ্চারণ ! ধন্য। রমণী ! ধন্য ভঁাহার হৃদয়-বল ! মন্‌সুর তখন বুঝিলেন, তাহার ভগিনী সামান্যা রমণী নহেন । এই অবস্থায় যামিনীর যামত্ৰয় অলক্ষ্যে অতিবাহিত হইয়া গেল। তখন রমণী কঠোর সাধন-সমাধি ভঙ্গ করিয়া গাত্ৰোথান করিলেন । যেমন দণ্ডায়মান, অমনি সহসা কি এক অপূৰ্ব্ব স্বৰ্গীয় সোঁরভে চতুৰ্দিক আমোদিত হইয়া উঠিল—বনভূমি অালোকচছটায় ভাসিয়া গেল,—পরক্ষণেই এক শুভ্ৰকান্তি দেবদূতের অাবিৰ্ভাব ! দতবরের হস্তে পানপাত্ৰ—উজ্জল পানীয়পূৰ্ণ ; তাহা হইতে স্বৰ্গীয় সৌরভ মনঃপ্ৰাণ মাতাইয়া বহিৰ্গত হইতেছে । শুদ্ধচারিণী সুশীলা মহিলা অতি যত্নে পরমাগ্ৰেহে পাত্ৰ গ্ৰহণ করিলেন এবং ভক্তি-গদগদচিত্তে তাহাতে ওষ্ঠদ্ধয় সংযুক্ত করিয়া পান করিতে আরম্ভ করিলেন । কি সে সুধা, কে জানে ? মনস্বী মনসুর অন্তরালে থাকিয়া সমস্ত দেখিতেছেন ; দেখিয়া বুঝিলেন—পাত্ৰস্থ পানীয় অপাৰ্থিব, দৈব-প্ৰেরিত ও দৈবগুণসম্পন্ন, সন্দেহ নাই । যাহার ভাগ্য সুপ্ৰসন্ন, অস্থি-মাংস-মজা-রক্ত-গঠিত যে মানব ন্যায়-নিষ্ঠা সদাচার-বলে বলীয়ান, স্বয়ং করুণাময় বিশ্বপতি যাহার প্রতি সন্তুষ্ট, তিনিই এই পবিত্ৰ স্বৰ্গামৃত পানের অধিকারী ! তিনিই