পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৯ তৃতীয় পরিচ্ছেদ ধন্য ! অহা পুণ্য-কৰ্ম্মফলে আমার ভাগ্যবতী ভগিনী যখন সেই অমৃত-ভাণ্ড প্ৰাপ্ত হইয়া পান করিতেছেন এবং ভাগ্যক্ৰমে আমিও তাহার নিকট উপস্থিত আছি, তখন ঐ ভূলোক-দুলভ পরম পদার্থের অংশ গ্ৰহণ করা অামার অবশ্যকৰ্ত্তব্য । এ শুভ সুযোগ পরিত্যাগ করা কোনক্ৰমেই উচিত নহে । ইহাই স্থির করিয়া মনসুর ব্যস্ততা ও বিনয়ের সহিত উচ্চকণ্ঠে বলিলেন, “ভগিনি । ভগিনি ! ক্ষান্ত হউন, ক্ষান্ত হউন, সমুদয় পান করিবেন না, অামাকে কিঞ্চিৎ প্ৰদান করুন ।” ইহা বলিতে বলিতে তাহার দিকে দোঁড়িতে আরম্ভ করিলেন । এ কি ! অকস্মাৎ এ কাহার কণ্ঠস্বর ! কে এ গভীর নিশাকালে এ নিজৰ্জন বন প্রদেশে আসিল ? রমণী চকিত ও বিস্মিত হইয়া পান-পাত্ৰ হইতে মুখ তুলিয়া লইয়া ফিরিয়া দেখিলেন, সমুখে ভ্ৰাতা মনসুর । মনসুর ? কিরুপ কখন এখানে আসিল মনসুর ? মনসুর কেমনে এ সংবাদ জানিতে পারিল ? হায় হায়, তবে তো সে আমার গুপ্ত সাধনক্ৰিয়া সমস্তই জানিতে পারিয়াছে । সাধের ষড়যন্ত্ৰ আমার ভাঙ্গিয়া গিয়াছে ! অহা অদৃষ্ট ! এত দিনে আমার সমুদয় পরিশ্ৰমই পণ্ড হইল ! পুণ্যময়ী রমণী অশ্ৰষ্টপূৰ্ণ নয়নে এইরুপ । অনু শোচনার সহিত ভ্ৰাতার মুখের দিকে চাহিয়া মৃদুস্বরে বলিলেন,— “মনসুর ! মনসুর আসিয়াছ ? উত্তম । পান করিবে ? কর; কিন্তু ভাই ! এ পানীয়ের জ্বালাময় প্ৰভাব তোমার দুৰ্ব্বল ক্ষুদ্ৰ প্ৰাণ সহ করিতে পারিবে কি ?” মনসুর এ কথায় কৰ্ণপাত