পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8১ তৃতীয় পরিচ্ছেদ রমণী চঞ্চলচরণে গৃহাভিমুখে অগ্রসর হইলেন । দেবদূত ইত্যগ্ৰেই অদৃশ্য হইয়াছিলেন । মনসুর উন্মত্ত ! সেই অবস্থায় “আনাল হক” উচ্চারণ করিতে করিতে প্ৰত্যুষসময়ে জনাকীৰ্ণ মহানগর বাগদাদে প্ৰবিষ্ট হইলেন । এক্ষণে একটী কথা । মহৰ্ষি মনসুরের উন্মত্ততার পরিণাম ফল পরবর্তী পরিচ্ছেদসমূহে বৰ্ণিত হইয়াছে । মহৰ্ষির ভগিনীর সহিত তাহার পরিণাম-ঘটনার দুই একটী বিষয়ের সংশ্ৰব আছে । কিন্তু তাহা যথাস্থানে উল্লেখ করার অাবশ্যকতা বিবেচিত হয় নাই । ফলতঃ সেই ঘটনা যে তদীয় ধৰ্ম্মশীলা ভগিনীর মাহাত্ম্য-প্ৰকাশক, তদ্বিষয়ে সন্দেহ নাই । তজজন্যই ( অপ্রাসঙ্গিক হইলেও ) এস্থলে সেই শেষের একটী ঘটনার কথা অগ্ৰে বলিতে বাধ্য হইলাম । কথিত অাছে, মহৰ্ষির দেহাবসানের অব্যবহিত পরে কতিপয় ব্যক্তি তাহার প্রশংসা-কীৰ্ত্তন করিয়া কহেন, “মনসুর এমনি তেজস্বী সাধু পুরুষ ছিলেন, যে, আপনি যাহা সত্য বলিয়া

  • এক্ষণে পাঠক বিবেচনা করুন, ঘটনাটি কি !

এই রমণী যে বিশুদ্ধচরিত্ৰা ও ধৰ্ম্মাম্বুরাগিণী, তাহাতে সংশয় নাই । ইনি নিৰ্জ্জনে যোগ-সাধনোদ্দেশ্যে এই নিভৃত স্থানে নিত্য আসিতেন, তাহা তো আপনি বুঝিতে পানিলেন । কিন্তু এই শুভ্ৰকান্তি দেবদূত কে ? আর তাহার হস্তস্থিত পানিপাত্ৰই বা কি ? জনৈক সুক্ষদশী ব্যক্তি বলেন, দেবদূত নামে বৰ্ণিত এই সাধু পুরুষ রমণীর দীক্ষাগুর, তিনি অতি প্রাচীন ও উজ্বল গেীরবৰ্ণ, তদীয় শ্বেত শ্মশ্ৰ ও শ্বেত কেশরাশিতে তাহার সৰ্ব্বাঙ্গ যেন সুধাধবলিত সোঁন্দৰ্য্যে পৰ্য্যবসিত হইয়াছে । আর সেই পাত্ৰ ? তাহা তাহার অমৃতায়মান তত্ত্বজ্ঞান-ভাণ্ডার ব্যতীত অার কিছুই নহে ।