পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহৰ্ষি মন্‌সুর 8৬ বৰ্ত্তমান । বরং ক্ষুদ্ৰ আমি—সামান্য জল-বুদ্ধ,দমাত্ৰ আমি, তন্মধ্যে পড়িয়া কোথায় বিলীন হইয়া গিয়াছি । আমার চিহ বা সত্তার লেশমাত্ৰ নাই । হায়, আমার আমিত্ব কোথায় ?” ইহা বলিয়া তিনি নীরব হইলেন । তখন অনুরোধকারী ব্যক্তি গণের মনে আরও ক্ৰোধের সঞ্চার হইল । তাহারা ইহার প্ৰতীকার প্রত্যাশায় উপায় অন্বেষণ করিতে লাগিলেন । অনন্তর ইসলামের প্রকাশ্য-ক্ৰীয়াশীল সেই ব্যক্তিবৃন্দ ধৰ্ম্মোপদেষ্টা আলেমদিগের নিকটে গিয়া এই ব্যাপার জ্ঞাপন করিলেন । তাহারা তৎশ্ৰবণে সাতিশয় চমকিত হইয়া নানা প্ৰকার বাদানুবাদ ও অনুশোচনা করিতে লাগিলেন । কিন্তু তত্ত্বদেশী সুফী-সমাজ নিস্তদ্ধ—নীরব ! তাহারা মনসুরের আভ্যন্তরিক অবস্থা এবং তঁাহার উক্তির গৃঢ়াৰ্থ বিলক্ষণ অবগত ছিলেন । তজ্ঞজন্য তদ্বিরুদ্ধে বাক্যমাত্ৰ ব্যয় করাও অন্যায় বোধে সকলেই মৌনাবলম্বন করিলেন । তাহাদের সেই মৌনাবলম্বন হেতু জন-সাধারণ মনসুরকে প্ৰকৃত ধৰ্ম্মবিরোধী বলিয়াই সিদ্ধান্ত করিয়া লইল । অনন্তর কি সাধারণ জনগণ, কি শাস্ত্ৰবিং আলেম মণ্ডলী, সকলেই মন্‌সুরের সেই মহাপরাধের দণ্ড প্ৰদানের জন্য সচেষ্ট হইলেন । কিন্তু শাস্ত্ৰীয় বিধান ও মহামান্য খলিফার অনুজ্ঞা ব্যতীত তাহা সংসাধিত হইবার উপায় নাই । ইহা ভাবিয়া সকলে প্রথমতঃ মহামান্য মুফতীর ( ফতোয়া-দাতার ) অভিমতপ্ৰাৰ্থী হইলেন । তৎকালে আবুয়ল আব্বাস নামক জনৈক শাস্ত্ৰজ্ঞান-গরীয়ান প্ৰতিভাবান পুরুষ বাগদাদের মুফতীর