পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাং * . . * . . . . . .

স্থাপিত ১৩৫২ সাল কিশোর পাঠাগার ' পঞ্চম পরিচ্ছেদ বন্দী পলায়ন করিয়াছেন । প্ৰহরিগণ ব্যস্ততার সহিত দিগে । দিগে অনুসন্ধানে ফিরিতেছে, নগরময় মহা আন্দোলন-কোলাহল পড়িয়া গিয়াছে । কিন্তু কিৰূপে কোন দিকে পলায়ন করিয়াছেন, তাহা কেহই বলিতে পারে না । যাহাদের তত্ত্বাবধানে বন্দী যাইতেছিলেন, তাহারাও “এই ছিল, এই নাই” ব্যতীত অার কিছুই বলিতে পারে না । আপন আপন বুদ্ধির প্রাখৰ্য্যানুসারে কত জন কত কথার অবতারণা করিতেছে, কত কল্পনা-জল্পনা চলিতেছে । এদিকে সাধকশ্ৰেষ্ঠ মনসুর দৈবশক্তি প্ৰভাবে অদৃশ্য হইয়া স্ব-ভবনে আসিয়া উপস্থিত । তিনি পূৰ্ব্ব নিয়মানুসারে স্বীয় কৰ্ত্তব্য প্ৰতিপালন করিয়া নিরাপদে নিরুদ্বেগে অবস্থান করিতে লাগিলেন । অনুসন্ধানকারী জনগণ কেহই তাহার দৰ্শন পাইত না । কিন্তু তিনি কখন কখন কোন কোন ব্যক্তির প্রতি সদয় হইয়া সাক্ষাৎ করিতেন ও তাহাকে প্ৰীতিসম্ভাষণে অাপ্যায়িত করিতেন । অার একটী অাশচৰ্য্যের বিষয় এই যে, এই সময়ে দৰ্শনপ্ৰাপ্ত ব্যক্তিগণের মধ্যে যিনি যে বস্তু তাহার নিকট প্ৰাৰ্থনা। করিতেন, তিনি তাহাই পাইতেন । সে বস্তু দুপ্ৰাপ্যই হউক , আর সুলভ-লভ্যই হউক, প্ৰাৰ্থনামাত্ৰ তপোধন হস্ত প্ৰসারণ পূৰ্ব্বক ‘এই ধর’ বলিয়া তপোবলে সেই দ্রব্য প্ৰদানে যাচকের সন্ত্ৰম রক্ষা করিতেন, তাহাতে অনুমাত্ৰও বিলম্ব বা অগ্ৰপশ্চাৎ