পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৫ পঞ্চম পরিচ্ছেদ করিতেছি । তোমরা আমার কথা শুন, এই নরকতুল্য অগম্য স্থান হইতে আপন আপন গৃহাভিমুখে প্ৰস্থান কর, ইহাতে আর কালবিলম্ব করিও না । ।” তখন বন্দিগণ কৃতাঞ্জলিপুটে কাতর স্বরে কহিল, “হজরত ! আমাদের কি এমন সৌভাগ্য হইবে ? আমরা কি স্ত্ৰী-পুত্ৰ-কন্যার মুখ দেখিয়া ইঙ্গ-জীবনে আবার আনন্দলাভ করিতে পারিব ? অামাদের স্বাধীনতা যে নিশার স্বপ্ৰবৎ অলীক । এই দেখুন, আমাদের হস্ত-পদ লোঁহ-শৃঙ্খলে দুঢ়রপে আবদ্ধ, পাশ্ব পরিবৰ্ত্তন করি বা এক পদ অগ্রসর হই, অামাদের এরাপ শক্তি নাই । সুতরাং ইহজীবনে আমাদের আর পরিত্ৰাণের আশা কোথায় অাছে, বলুন দেখি ? অহো ! সে আশা যে সুদূরপরাহত ! তবে যদি আপনার আশীৰ্ব্বাদে এই মন্দভাগ্যের প্ৰতি দৈব কখন অনুকুল হন, তাহা হইলে একথা এক দিন সম্ভব হইলেও হইতে পারে। নতুবা আকাশের চন্দ্ৰ ধারণের ন্যায়, পঙ্গুর পৰ্ব্বত উল্লঙ্ঘনের ন্যায় নিম্বফল কল্পনা করিতে যাওয়া অামাদের পক্ষে আরও যন্ত্ৰণাদায়ক ও বিপদজনক বলিয়া জানিবেন ।” বন্দীদিগের এই কাতর বাক্য শুনিয়া দয়ালহাদয় মনসুর আর স্থির থাকিতে পারিলেন না, তখনি তাহাদের উদেশে উৰ্দ্ধমুখে উদিকে হস্তোত্তোলন করিয়া সজোরে নিম দিকে আকৰ্ষণ করিয়া লইলেন । আহা কি আশ্চৰ্য্য তপোবল ! কি অপাৰ্থিব সাধন-শক্তি ! মহৰ্ষির পবিত্ৰ হস্ত নিম্ন মুখে যেই আকৃষ্ট হইল, অমনি কয়েদীদিগের হস্ত-পদ-নিবদ্ধ শৃঙ্খলনিচয় খণ্ডবিখণ্ড হইয়া ঝন ঝন্‌ শব্দে ভূতলে নিপতিত হইল। বন্দি