পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ সঙ্কট উপস্থিত, তাহাতে আমার জীবন সংশয় নিশ্চিত, ভাবিয়া আমি আকুল ও আত্মহারা হইয়াছি । সাধু-প্ৰবর ! কেবল আপনার এই দীন-হীন দাসের তুচ্ছ জীবন গেলে দুঃখ ছিল না বরং তাহাতে পাপী-তাপী যে তামি, আমি আপনাকে সুখী ও কৃতাৰ্থ বোধ । করিতাম । কেননা এক জন সৎ কৰ্ম্মশীল পবিত্ৰ পুরুষের কৃত কাৰ্য্য যদি অন্য হীন জনের জীবন নাশের কারণ হয়, তবে তাহা কম সৌভাগ্য ও পুণ্যের কথা নহে। কিন্তু যেরপ সৰ্ব্বনাশকর মহান অনৰ্থ আজ সংঘটিত হইয়াছে, তাহাতে আমি বুঝিতেছি,—আমার নিজের, আমার অধীন কৰ্ম্মচারিগণের এবং আমার পুত্ৰকলাত্ৰাদিৱ পৰ্য্যন্ত প্ৰাণনাশের সম্ভাবনা । তাই আমি ভীতচিত্তে এবং বিনীতভাবে জিজ্ঞাসা করিতেছি, এই যে শমনপুরী সদৃশ প্রহরী-বেষ্টিত ভীষণ কারা-ভবন, যাহার নাম । শ্ৰবণে জগৎ আতঙ্কিত হইয়া থাকে, যাহাতে ক্ষুদ্রকায় পিপীলিকারও প্ৰবেশ বা নিস্ত্ৰমণের পথ নাই, বিশ্বব্যাপী সমীরণ এবং রবি রশ্মিও যেখানে সঞ্চরণ করিতে কুষ্ঠিত হয়, সে হেন কঠিন স্থান হইতে অপরাধীবৃন্দ কিরাপে কখন কোথায় পলায়ন করিল ? অনুগ্ৰহ পূৰ্ব্বক তাহা বলিয়া এ দীন দাসের উদ্বিগ্ন চিত্তের স্থৈৰ্য্য সম্পাদন করুন ।” তেজস্বী তাপস কারাধ্যক্ষের বাক্য শ্ৰবণে গম্ভীরভাবে কহিলেন , “জানিও, আল্লাহ--তা’লার অনুগ্ৰহ হইলে পাৰ্থিব নিগ্ৰহের অবসান হইয়া থাকে । বন্দীরা অাজ বিধাতার অনুগ্ৰহেই মুক্তিলাভ করিয়াছে।” মহৰ্ষি ইহা বলিয়া মৌনাবলম্বন করিলেন । 59