পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ এইরুপ বৰ্ণিত আছে যে, একদা নিশীথকালে মহামনস্বী হোসেন মনসুর গভীর নিদ্ৰায় অভিভূত হইয়া শয়ান ছিলেন এবং তদবস্থায় স্বপ্নযোগে এক কল্পনাতীত অপূৰ্ব্ব ঘটনা নয়নগোচর করেন । তিনি দিব্য চক্ষে দেখিতে পাইলেন, যেন এক বিস্তীৰ্ণ শুভ্ৰ ভূমিখণ্ডের উপর একটা প্ৰকাণ্ড বস্ত্ৰাবাস স্থাপিত হিয়াছে। বস্ত্ৰাবাসাটীর শোভা-সোঁন্দৰ্য্য অতি মনোরম—বৰ্ণনাতীত । আহা, শিল্লিপ্ৰবর তদীয় অত্যাশ্চৰ্য্য অকৃত্ৰিম শিল্পচাতুৰ্য্যের পরিচয় প্ৰদানাৰ্থ যেন তাহা অপরুপ বিশ্বোজলকারী সুস্নিগ্ধ জ্যোতিরাশি দ্বারা পরম যত্নে নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন । বস্ত্ৰাবাসটিীর চতুৰ্দিক্‌ হইতে বিজলীপ্ৰভাগঞ্জন ঔজল্যলহরী বিনিৰ্গত হইয়া দিগদিগন্তর আলোকিত ও আমোদিত করিতেছে । বস্ত্ৰাবাসের অভ্যন্তরস্থ সাজ-সজ্জাসমূহের সৌন্দৰ্য্যই বা কত ! তৎসমুদয় অত্যভুত, অলৌকিক ও অতি মনোহর। মানবের রসনা তাহার বৰ্ণনা করিতে অশক্ত । মানবের ভাষাও সেরাপ ভাবপ্ৰকাশক শব্দসমষ্টির কাঙ্গাল। নর-চক্ষু সে সৌন্দৰ্য্য অনুভব করিবার অণুমাত্ৰও শক্তি প্ৰাপ্ত হয় নাই । ফলতঃ সে সমুদয় সজা মাহাত্ম্যজ্ঞাপক ও অতুলনীয় বটে, কিন্তু সৰ্ব্বোপরি সেই বস্ত্ৰাবাসের মধ্যস্থ মৃদু-মন্দ-মলয়-মারত-শীতলীকৃত ছায়ার গুরুত্ব-গরিমা ও মৰ্য্যাদা অধিক। কেননা নিদারুণ নিদাঘের প্ৰচণ্ড সুৰ্য্যোত্তাপ-প্ৰতপ্ত ক্লিষ্ট জনগণ সেই সুশীতল ছায়াতলে