পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহৰ্ষি মন্‌স্কর ৭৮ রুন্মীলন পূৰ্ব্বক বিরক্তি সহকারে স্বীয় দীক্ষাগুরু সৈয়দ জুনেদ শাহ কে সম্ভাষণ করিয়া কহিলেন, “আপনি আমার মোরশেদ জ্ঞান-চক্ষুদাতা, সুতরাং নতমস্তকে আপনাকে অভিবাদন করি । কিন্তু সত্য কথা বলিতে আমি কুণ্ঠা বোধ করিব না । তাপনি কেন অামাকে বিরক্ত করিবার জন্য এখানে উপস্থিত হইয়াছেন ? আপনার বচন-পরম্পরায় স্পষ্টই আমার প্রতীতি হইতেছে যে, প্রেমের মাহাত্ম্য এখনও আপনি বুঝিতে সমৰ্থ হন নাই, ইহার সুমধুর রসাস্বাদনে আপনি বঞ্চিত আছেন । যদি প্রেমতত্ত্বে আপনার অণুমাত্ৰও অধিকার থাকিত, তাহা হইলে আজ আমার প্ৰতি কঠিন কুলিশোপম বাক্য বাণ বৰ্ষণে উদ্যত হইতেন না । আর বলুন তো, পয়গম্বরশ্ৰেষ্ঠ হজরত মোহাম্মদ মোস্তফা সম্বন্ধে আপনি কি উৎকৰ্ষ লাভ করিয়াছেন ? তাহার ইঙ্গিতের প্রকৃত উদ্দেশ্য বোধ করা সাতিশয় কঠিন ব্যাপার । তিনি বলিয়াছেন, “বিশ্ব পাতা খোদা সৰ্ব্বদা অামার সঙ্গে অাছেন ।” এবং ধৰ্ম্মগ্রন্থেও উক্ত হইয়াছে, “আমি (সৃষ্টিকৰ্ত্তা) মনুষ্যের নিকট হইতেও অতি নিকটে আছি।” এক্ষণে বলুন দেখি, আপনি ইহার কিরাপ মৰ্ম্মগ্ৰহণ করিয়াছেন ? আপনি প্ৰকাশ্য ধৰ্ম্মকৰ্ম্মে, বাহ অনুষ্ঠানে, লৌকিক আচার-ব্যবহারে বিশেষরপ পারদৰ্শিতা লাভ করিয়া ছেন সত্য, কিন্তু বলুন দেখি, চাকচিক্যময় বহিৰ্ভাগ দেখিয়া৷ ভিতরের ভাব কি হৃদয়ঙ্গম করা যায় ? কখনই নহে । তাই বলিতেছি, কেবল বাহ অনুষ্ঠানে কিছুই হইবে না, অন্তর ও বাহির নিৰ্ম্মল এবং একই কেন্দ্ৰাভিমুখী করা চাই । যেমন কোন