পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহৰ্ষি মন্‌সুর কৰ্ত্তব্য । কে না জানে, এ সংসারে সত্য কণ্টকময় ও বিপদজনক । কে না জানে, সে পথে নানা প্ৰতিবন্ধক দৃষ্ট হইয়া থাকে। হায় ! আজ আমাকে ন্যায়ের অনুরোধে আবার বলিতে হইল। যে, সে পথের পথিক হইতে আপনি অসমৰ্থ ; তাহাতে অনেক সৌভাগ্য, অনেক সহিষ্ণুতা, অনেক সম্বলের প্রয়োজন । আপনার সে সম্বল কৈ ? খোদা-তা’লার প্রকৃত একত্ব ও মহত্ব বিষয়ক জ্ঞানের অধিকার আপনার কোথায় ? আপনার অন্তরে প্রণয়ের ভীষণ প্ৰতিবন্ধক-স্বরাপ লক্ষাধিক সুদৃঢ় পৰ্দা প্ৰলম্বিত, সুতরাং সেই প্ৰেমময় নিখিলনাথের নিৰ্ম্মল প্ৰেম লাভ করিয়া অপাথিব অনন্ত সুখে সুখী হইতে পারিবেন কিরুপ ? আপনার জ্ঞান নয়ন প্ৰস্তুটিত হইবার এখনও বিলম্ব আছে।” উন্মত্ত আত্মহারা মনসুর মনের আবেগে জলদগম্ভীরে এত দূর বলিয়া শান্ত ভাব অবলম্বন করিলেন। উত্তাল তরলসন্ধুল জলধি সহসা যেন স্থির—তরঙ্গ-রহিত হইল । তখন সৈয়দ সাহেব তাহার এইরুপ সম্পৰ্দ্ধা-সম্বলিত তেজস্কর বাক্য শুনিয়া হতাশ-মলিন মুখে মস্তকে হাত দিয়া বসিয়া পড়িলেন । চিত্ৰ পুত্তলিকাবৎ ক্ষণকাল নীরব ও নিম্পন্দ ! অতঃপর আর বাক্য ব্যয় বৃথা জানিয়া ধীরে ধীরে স্বভবনে প্ৰত্যাবৰ্ত্তন করিলেন। এই ঘটনায় সাধারণ জনগণ ক্ৰোধে অধিকতর উত্তেজিত ও অধীর হইয়া উঠিল । “মৃত্যুকালে বিপরীত বুদ্ধি ঘটে, হিতাহিত জ্ঞান থাকে না, সে লক্ষণ মনসুরের যথেষ্ট প্ৰকাশ পাইয়াছে । এখন িহতগৰ্ভ উপদেশ বা প্ৰবোধ প্ৰদান, ইহার কিছুই ফলপ্ৰদ