পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহৰ্ষি মন্‌সুর আঘাত প্ৰাপ্ত হইলেন, তাহা বুঝিতে কাহার আর বাকী রহিল না । ফতোয়া-প্ৰাথীরা সৈয়দ সাহেবের অবস্থা দেখিয়া অতীৰ আশচৰ্য্যাম্বিত হইলেন । অনেক অনুনয়-বিনয় করিয়াও তাহার অভিমত প্ৰদানের অভিপ্ৰায়ের কোন ভাবই লক্ষিত হইল না, একটা বাক্যও তাহার মুখে স্বরিত হইল না । তিনি কেবল নীরবে কাতর ভাবে অশ্ৰমবিসৰ্জন করিতে লাগিলেন । ইহা দেখিয়া ব্যবস্থাপ্ৰাথী ব্যক্তিগণ অতিশয় বিরক্ত হইলেন,—কাহার কাহার ধৈৰ্য্যচুতিও ঘটিল। কিন্তু তাহা হইলে কি হইবে ? নানা কারণে সে অধৈৰ্য্যবেগ সম্বরণ করিতে হইল । রাজ্যাধি পতি খলিফার গোচর করিলে সহজেই ইহার প্রতীকার হইবে বিবেচনায় সকলে সমবেত হইয়া অবশেষে মহামান্য খলিফার দরবারে উপনীত হইলেন এবং আদ্যোপান্ত ঘটনা যথাবিধি তাহার কৰ্ণগোচর করিলেন । দরবারে বিচার কাৰ্য্যে নিয়োজিত জনৈক উচ্চ রাজকৰ্ম্মচারী অাগন্তুকগণের প্ৰাৰ্থনা শ্ৰবণ করিয়া চমকিত হইলেন এবং মনে মনে বিবেচনা করিয়া বিনীতভাবে খলিফাকে কহিলেন,— “জাহাপনা ! মাননীয় উজির সম্মিলিত অালেমগণের স্বাক্ষরিত ফতোয় হস্তগত করিয়াছেন বটে, িকন্তু এই দুরুহ কাৰ্য্য কাৰ্য্যে পরিণত করিবার অগ্ৰে শ্ৰদ্ধেয় তাপস সৈয়দ জুনেদ শাহের অভিপ্ৰায় গ্ৰহণ করা কৰ্ত্তব্য। যেহেতু তিনি দরবেশকুলের শ্ৰেষ্ঠ এবং সুফী-সজেঘর গুরুস্থানীয়, তিনি যে ব্যবস্থা প্ৰদান করিবেন,