পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহৰ্ষি মন্‌সুর ৮8 স্বয়ং চিন্তাবিহবলচিত্তে বাদী-প্ৰতিবাদী-স্বরাপে মনে মনে বহু বাদানুবাদ, বহু তৰ্কবিতৰ্ক করিলেন । পরিশেষে বুঝিলেন , ইসলামের অপ্ৰতিহত প্ৰভাব খৰ্ব্ব-করণে-উদ্যত মনসুর দণ্ডের যোগ্য বটেন। তখন রাজকৰ্ম্মচারীর কথা যুক্তিমূলক বিবেচনা করিয়া তিনি ফতোয়া প্ৰদান জন্য শাহ সুফী সৈয়দ জুনেদের নিকট পত্ৰ প্রেরণে বাধ্য হইলেন । পত্ৰ লিখিত হইল। আজ্ঞানুসারে রাজকীয় লেখক লিখিলেন, “মহাত্মন্‌! উন্মত্ত মনসুর সুনিৰ্ম্মল ইসলাম ধৰ্ম্মে যে কি দুরপনেয় কলঙ্ক-কালিমা প্ৰলেপন করিতে—চিরন্তন সরল বিশ্বাসের মূলে সুতীক্ষ্ম কুঠারাঘাত করিতে সমুদ্যত হইয়াছেন, তাহা আপনার অবিদিত নাই । আজ মোসলেম সমাজ তাহার সেই কৃতাপরাধের—সেই ধৃষ্টতার সমুচিত প্ৰতিবিধান করিতে বদ্ধপরিকর । আপনি সুফী, দরবেশ এবং আলেমকুলের মুকুট মণি, আপনার ধৰ্ম্মাচরণের তুলনা নাই। ধৰ্ম্মের অবমাননা আপনার হৃদয়ে বিষদিগ্ধ বাণের ন্যায় যাতনা প্ৰদান করে । অতএব আশা করি, মনসুরের এই অকথ্য আচরণের প্রায়শ্চিত্তের নিমিত্ত শাস্ত্ৰানুমোদিত যে ব্যবস্থা হয়, তাহা প্ৰদান করিয়া সত্য সনাতন ইসলামকে অক্ষুঃ রাখিতে আপনি ক্ৰটি করিবেন না। অন্ধুরে ইহার মূলোৎপাটন না করিলে কালে ইহা শাখা প্ৰশাখাবিশিষ্ট হইয়া ধৰ্ম্মজগতে নিদারুণ বিপ্লব উপস্থিত করিতে পারে, আপনার ন্যায় ভবিষ্যদৰ্শী ব্যক্তিকে একথা লেখাও বাহুল্য মাত্ৰ ।”