পাতা:মহাকবি কালিদাসের গ্রন্থাবলী.djvu/৩০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাত্রিংশং-পুত্তলিকা। \DS) রাজহস্তে ফলং দম্বাব্ৰবীৎ | ভো রাজন্‌! দেবতাবর-প্রসাদলব্ধমিদমপুৰ্ব্বফলং ক্ষক্ষয়, জরামরণবর্জিতে ভবিষ্যসি। রাজা তং ফলং গৃহীত্বা তস্মৈ বহন্তগ্রহারাণি দত্বা বিশ্বজ্য বিচারয়তি স্ম। অঙ্গে ! মমৈভৎ ফলভক্ষণাদমরত্বং ভবিষ্যতি। মম অনঙ্গসেনায়ামতীব MttBS B BD DBBD BBBBSDD BB BBBBBB BBD D BBB S তস্মাদিদং ফলং মম প্রাণপ্রিয়ায়ৈ অনঙ্গসেনায়ৈ দাঙ্গামীত্যনঙ্গসেনামাহয় দত্তবান। তস্যা অনঙ্গসেনায়াং কশ্চিম্মাথুরিকং প্রিয়তমো দামোহভূৎ, স চ বিচাৰ্য্য তস্মৈ ফলং দদৌ । তস্য মাথুরিকস্য কাচিদাস প্রিয়তমা, তস্যৈ সঃ প্রাদাৎ । তস্যা অপি কশ্চিদেগাপালকে প্রীতিঃ, সা তস্মৈ দত্তবতা । তস্যাপি কস্যাঞ্চিদৃগোময়ধারিণ্যাং প্রীতি, সোহপি তস্যৈ প্রাযচ্ছৎ । ততঃ সা গোময়ধারিণী গ্রামাদৃবহির্গোময়ং বৃত্বা, গোময়ভাজনং শিরসি নিধায়, তদুপরি তৎফলং নিক্ষিপ্য যাবন্দ্রাজধাথ্যামাগচ্ছতি, তাবদ্রাজা ভর্তৃহরিঃ রাজকুমারেঃ সহ বিহারার্থং বহির্গতঃ তস্যাঃ শিরসি গোময়াগ্রে স্থিতং ফলং দৃষ্ট, গৃহীত্বা গৃহমাগতঃ। ততো ব্রাহ্মণমাকাৰ্য্য অবাদীৎ, ভে ব্রাহ্মণ । ত্বয়া যৎ ফলং দৰং, তাশমন্তৰ ফলমস্তি কিমৃ? ততো ব্রাহ্মণেনোক্তং । ভে রাজন। তৎ ফলং দেবতাবরপ্রসাদলভ্যং দিব্যং, তাদৃশমন্তস্নাস্তি। রাজা তু সাক্ষাদীশ্বরঃ, তস্যাগ্রে অমৃতং ম বাচ্যং, স দেবতেব নিরীক্ষণীয়মৃ । তথা চোক্তং । সৰ্ব্বদেবময়ে রাজা ঋষিভিঃ পরিকীৰ্ত্তিতঃ । তস্মাং তং দেববং পঞ্জন অলীকং ন বদেৎ স্বধীঃ ॥ ততো রাজ্ঞা ভণিতম্। তাদৃশং ফলং দৰ্শয়তি কাচিৎ, তৎ কথং সম্ভবতি ? iব্রাহ্মণোহব্ৰবীৎ, তৎ ফলং ভূপাল! ভুজঙ্গমালাধারী ত্রিলোচন এবং পীতাম্বরধারী নারায়ণ আপনার মঙ্গলবিধান করুন।” এইরূপ আশীৰ্ব্বাদ প্রয়োগ পূর্বক রাজার হস্তে ফল প্রদান করিয়া কহিলেন, “হে রাজন্‌! এই অপুৰ্ব্ব ফল আমি দেবতার হরপ্রসাদে লাভ করিয়াছি, আপনি ইহা ভক্ষণ করুন, তাহা হইলে জরামরণবর্জিত হইবেন।” রাজা সেই ফল গ্রহণপূর্বক ব্রাহ্মণকে বহতর পুরস্কার প্রাদন পুরঃসর বিদায় দিয়া মনে মনে বিচার করিতে লাগিলেন যে, এই ফলভক্ষণে আমার অমরত্বলাভ হইবে ; অনঙ্গসেনাতে আমার অতিশয় প্রীতি জন্মিয়াছে, আমি বাচিয়া থাকিতে দে মরিলে আমি তাহার বিয়োগদুঃখ সহ করিতে সমর্থ হইব না । অতএব এই ফল আমি প্রাণপ্রিয় অনঙ্গসেনাকে প্রদান করিব। এই ভাবিয়া অনঙ্গসেনকে সেই ফল প্রদান করিলেন। কোন মথুরাদেশজাত পুরুষ সেই অনঙ্গসেনার প্রিয়তম দাস ছিল, অনঙ্গসেনা ঐ মাথুরিককে সেই কম্প প্রদান করিল। কোন দাসী মাখুরিকের প্রিয়তমা ছিল, সে সেই দাসীকে ঐ ফল প্রদান করিল। সেই দাসীর কোন গোপালকের সহিত প্রণয় ছিল, সে তাহাকে ঐ ফল প্রদান করিল। গোপলকের কোন গোময়-ধারিণীর সহিত প্রণয় ছিল, সে তাহাকে ঐ ফল প্রদান করিল। তদনন্তর একদিন সেই গোময়-ধারিণী গ্রামের বহির্ভাগে গোময়পাত্র মস্তকে সংস্থাপিত করিয়া তাহার উপরিভাগে ঐ ফল রাখিয়া যখন রাজমার্গে আসিতেছিল, তখন রাজা ভর্তৃহরি রাজকুমারগণের সহিত বিহারার্থ বহির্গত হইয়া গোময় ধারিণীর মস্তকে গোষয়াগ্রে স্থিত সেই ফল দর্শন করিয়া, তাহা গ্রহণ পূর্বক গৃহে ফিরিয়া আসিলেন। তদনন্তর ব্রাহ্মণকে আহবান করিয়া বলিলেন, “হেতুজিবর। আপনি যে ফল আমাকে দিয়াছিলেন, তৎসদৃশ অন্ত ফল আছে কি না r ব্রাহ্মাণ বলিলেন, “হে রাজন! সেই ফল দিব্য ও দেবপ্রসাদলব্ধ, তৎসদৃশ অsফল নাই। রাজা সাক্ষাৎ ঈশ্বর, তাহার সম্মুখে মিথ্যাবাক্য বলা উচিত নয়, নরপতিকে দেবতার স্তায় নিরীক্ষণ করা কৰ্ত্তব্য। শাস্ত্রে উক্ত আছে, রাজা সৰ্ব্বদেবময়, ইহাঋষিগণ বলিয়াছেন, অতএব তাহাকে দেববৎ দর্শন করিয়া সুধী ব্যক্তি তাহার নিকট কখনই মিথ্যা বলিবেন না।” তদনন্তর রাজা বলিলেন, “কোন স্ত্রীলোকের নিকট সেই ফল সৃষ্ট হইল, ইহা কিরূপে সম্ভব হয় ?” ব্রাহ্মণ ৰলিলেন, “আপনি সেই ফল ভক্ষণ করিয়াছিলেন