পাতা:মহাত্মা কালীপ্রসন্ন সিংহ.djvu/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পণ্ডিত। এদিকে দর্শনে রঘুনাথ শিরোমণি, গদাধর, জগদীশ ; স্মৃতিতে রঘুনন্দন এবং তৎপরগামিগণ। আবার বাঙ্গাল কাব্যের জলোচ্ছ,াস। বিদ্যাপতি, চণ্ডীদাস, চৈতন্তের পূর্বগামী। কিন্তু তাহার পরে, চৈতন্তের পরবর্তিনী যে বাঙ্গাল কৃষ্ণবিষয়িনী কবিতা, তাহ। অপরিমেয় তেজস্বিনী, জগতে অতুলনীয়া।” বাঙ্গালার এই প্রতিভাপুনঃপ্রদীপ্তি বাঙ্গালী হিন্দুর মানসিক শক্তির পরিচায়ক। তাহার বিশেষ কারণ ছিল । পাঠানগণ বাঙ্গালায় আসিয়াছিলেন অর্থার্জনের জন্য ও ধৰ্ম্মপ্রচারের জন্ত । মহম্মদ-ইবখতিয়ার লুণ্ঠনলব্ধ অর্থে সেনাদল বৰ্দ্ধিত করিতে করিতে অগ্রসর হইতেন। শেষে বাঙ্গালা দেশ বিজিত হইলে এই স্বর্ণপ্রন্থ নদীমাতৃক দেশের ঐশ্বর্ষ্যে আকৃষ্ট হইয়া সমরশ্রমশ্রাপ্ত পাঠানগণ বাঙ্গালায় বাল করিতে আরম্ভ করেন ; হিন্দু মুসলমান “জেতাজিত বিষভাব” পরিহার করিয়৷ এক সঙ্গে বাস করিতে থাকেন। পাঠানগণ যখন বঙ্গে আসিয়াছিলেন, তখন তাহার নূতন সাহিত্য-নূতন সভ্যতা কিছুই সঙ্গে আনেন নাই ; আনিয়াছিলেন, ধৰ্ম্মপ্রচারোৎসাহ আর স্থাপত্য। এই প্রচারোৎসাহের ফলে দেশের লোক দলে দলে মুসলমান হইয়াছিল বা দেশের লোককে দলে দলে মুসলমান হইতে হইয়াছিল। কারণ, হিন্দুর জাতিনাশ’ সহজেই হয়, আর জাতি যাইলেহিন্দুর পক্ষে হিন্দুসমাজের দ্বার রুদ্ধ হয়—সে মুসলমান-সমাজে সাদরে গৃহীত হয়। আর এই স্থাপত্যের প্রমাণ আজও বঙ্গদেশে নানা স্থানে বর্তমাল । গৌড়ে ও খলিফাতাৰাদে (বাগেরহাটে) এখনও সে স্থাপত্যের পরিচয় পাওয়া যায়। তবে বাঙ্গাগা দেশে বাঙ্গালী হিন্দু শিল্পীর শ্রমে ও এ দেশের উপাদানে সে সব গৃহাদি নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল বলিয়। লে সকলেও বিষ্ণু প্ৰতাৰ পতিত হইয়াছিল। বুজন সাহিত্য বা মূভন