পাতা:মহাত্মা কালীপ্রসন্ন সিংহ.djvu/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

مWو গ্ৰী বাঙ্গালার মসনদে বসিয়াই যে সম্পদ দিল্লীতে পাঠাইয়াছিলেন তাহার কথা মনে করিলে দুঃখ হয়। কিন্তু সেই ধনহানিই সে সময় বাঙ্গালার মানসিক উদ্দীপ্তি না ঘটিবার একমাত্র কারণ বলিয়া নির্দেশ কর। যায় না। কারণ, সমৃদ্ধ বাঙ্গালা অল্প দিনেই নিধন হয় নাই—দারিদ্র্যদুঃখের অনুভূতি তাহার পক্ষে অবশুই কালসাপেক্ষ হইয়াছিল। আবার এই সময়ের মধ্যে যে বাঙ্গালায় একখানিও উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ রচিত হয় নাই, এমনও নহে। তবে এই সময়ে রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের সংখ্যাল্পত অস্বীকার করিবার উপায় নাই। বোধ হয় দীর্ঘকালের পর পাঠানের সময় বাঙ্গালায় যে পুনঃপ্রতিভাপ্রদীপ্তি দেখা দিয়াছিল, তাহাই দীর্ঘকাল ব্যাপিয়া বাঙ্গালার মানসিক গগন উজ্জ্বল করিয়া ছিল এবং তাহারই উপাদান যোগাইতে বাঙ্গালীর মানসিক শক্তি ব্যয়িত হইতেছিল। তাহার পর কৰ্ম্মের উত্তেজনার পর শ্রান্তির অবসাদের আবির্ভাব অসম্ভব নহে ; পরস্তু অনেক স্থলে অবশ্যম্ভাবী। বাঙ্গালায়ও যে তাহাই হইয়াছিল এমন অকুমান করা যাইতে পারে। যে ভাবের স্রোতঃ কুলপ্লাব প্রবাহে প্রবাহিত হইয়াছিল, তাহাই ক্রমে ক্ষীণ হইতেছিল ; প্রবাহপথে কোথাও জলজগুল্ম জন্মিয় স্বচ্ছ সলিল আবৃত করিতেছিল, কোথাও সামাজিক আবর্জনা জল আবিল করিতেছিল। এই অবস্থায় কিছুকাল কাটিয়া যাইতে না যাইতে দেশে আবার রাজনীতিক অশান্তি আত্মপ্রকাশ করে। দুর্ভাগ্য সাহজাহানের মৃত্যুর পূৰ্ব্বেই দিল্লীর সিংহাসন লইয়া যে কলহে ভ্রাতৃরক্তে ভারতভূমি কলুষিত করিয়া আওরঙ্গজেব বন্দী পিণ্ডার সিংহাসন লাভ করেন, সেই কলহু হইতে বাঙ্গালায় অশান্তির আবির্ভাব। সময় সময় মুর্শিদকুলী ধা’র মত শাসনকর্তার শাসনে সে অশান্তি কিছুকালের জন্য তিরোধিত