পাতা:মহাত্মা কালীপ্রসন্ন সিংহ.djvu/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

هريا পাঠানগণ যেমন এ দেশে নূতন সাহিত্য বা নূতন সভ্যতা আনেন নাই, ইংরাজ তেমনই নূতন সাহিত্য, নূতন সভ্যতা, নূতন শিক্ষা, নূতন ধৰ্ম্ম, নূতন আদর্শ আনিয়াছিলেন। সে সাহিত্য যুরোপের পুনঃপ্রতিভাপ্রদীপ্তিপ্রোজ্জ্বল। সে সভ্যতা হিন্দু সভ্যতার মত প্রাচীন না হইলেও তরুণ নহে, আর বৈশিষ্ট্যময় । সে শিক্ষা জড়বিজ্ঞানে আত্মনিয়োগফলে প্রাকৃতিক শক্তিকে পরাভূত ও নিয়ন্ত্রিত করিয়া মানবের কল্যাণকর কার্ঘ্যে প্রযুক্ত করিতে প্রয়াসী। সে ধৰ্ম্মও সাম্যমূলক। সে আদর্শ অভিনব। বঙ্গদেশেই ইংরাজের প্রভাব সৰ্ব্বপ্রথম অনুভূত হইয়াছিল ; তাই বাঙ্গালীই এই সাহিত্যে—এই সভ্যতায়—এই শিক্ষায়—এই আদর্শে সৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক মুগ্ধ হইয়াছিল ; আর তাই নব্য যুগে বাঙ্গালীর পুনঃপ্রতিভা প্ৰদীপ্তির ফলে ইংরাজীর প্রভাব সৰ্ব্বত্র পরিস্ফুট। বাঙ্গালীর মুগ্ধ হইবার বিশেষ কারণও ছিল। ইংরাজ যে সাহিত্য আনিয়াছিলেন, তাহার তুলনায় বাঙ্গালীর সাহিত্য একান্তই দীন। ইংরাজের আনীত সাহিত্যের মত সহিত্যের সহিত বাঙ্গালার জনগণ পূৰ্ব্বে কখনও পরিচিত হয় নাই। সংস্কৃত সাহিত্য বিপুল ও বৈচিত্র্যময় সন্দেহ নাই, কিন্তু তাহার আলোচনা চিরদিনই সম্প্রদায়বিশেষের মধ্যে নিবদ্ধ ছিল ; নবদ্বীপে বিক্রমপুরে টেলে ব্রাহ্মণ বালক শিক্ষা পাইত, বৈদ্যগণ চিকিৎসাশাস্ত্রের আলোচনা করিতেন, কারত্বগণ জমজমার হিসাব নিকাশ লইয়া ব্যাপৃত থাকিতেন—মুসলমানের আমলে তাহার “যদৃষ্টং তল্লিখিত পুথি নকলও বড় করিতেন না। ফাশী কবিতা কেহ কেহ ੇ কাছে পাঠ করিতেন । কিন্তু বাঙ্গাল সাহিত্যের দৈন্তের অবধি ছিল না। আমরা এই মানসিক উদ্দীপ্তির মধ্যযুগে জন্ম গ্রহণ করিয়া বহু সুপাঠ্য ও (3) 3.