পাতা:মহাত্মা কালীপ্রসন্ন সিংহ.djvu/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

هيدا ব্যতীত কোন জাতির উন্নতির উপায় হইতে পারে না, সেই গদ্যসাহিত্য ছিল না। গদ্যসাহিত্য ত পরের কথা, পত্রাদিতে যে গদ্য ব্যবহৃত হইত, তাহাই ভাষার দৈন্তের প্রকৃষ্ট পরিচয় প্রদান করিত। ‘শিশুবোধকে সে সময়ের লোকের পত্রের কতকগুলি আদর্শ রক্ষিত হইয়াছে। আমরা তাহার একটি উদ্ধৃত করিয়া দিলাম। “সাবিত্রীধৰ্ম্মাশ্রিতা”—“গুণাধিক স্বধৰ্ম্মপরিপালিকা শ্ৰীমতী মালতীমঞ্জরী দেবী”—“ঐহিকপারত্রিক নিস্তারকর্তৃক ভবাণবনাবিক ঐযুক্ত প্ৰাণেশ্বর মধ্যম ভট্টাচাৰ্য্য” মহাশয়ের পদপল্লবে নিবেদন করিতেছেন “শ্ৰীচরণসরসী নিবানিশি সাধন প্রয়াসী দাসী শ্ৰীমতী মালতীমঞ্জরী দেবী প্ৰণম্য প্রিয়বর প্রাণেশ্বর নিবেদনঞ্চাদেী মহাশয়ের শ্ৰীপদসরোরুহ স্মরণমাত্রে অত্র শুভবিশেষ। পরে নিবেদন, মহাশয় ধনাভিলাষে পরদেশে চিরকাল কালঘাপন করিতেছেন, যে কালে এ দাসীর কালরূপলগ্নে পাদক্ষেপণ করিয়াছেন, সে কালাহরণ করিয়৷ দ্বিতীয় কালের কালপ্রাপ্ত হইয়াছে। অতএব পরকালে কালরূপতে কিছুকাল সান্থনা করা দুই কালের মুখোদয় বিবেচনা করিবেন। দ্বিতীয় কালের সাধনের ধন আদরামৃত তৃতীয় কালের কালানুসারে কালকূটবোধ হইবে, অতএব বহুকাল কালস্বরূপ মনে উদ্ভব হয় যে, আগতকাল আগতপ্রায়, এইরূপে আগত আগত ভাবিতে তাবিতে হৃদয়াগত উন্নত হইয়া অধোগতপ্রায় হইয়াছে, অতএব জাগ্রৎ নিদ্রিতার দ্যায় সংযোগ সঙ্কলন পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক শ্ৰীচরণ যুগলে স্থানং প্রদানং কুরু নিবেদন ইতি । ১৫ই চৈত্র।” শিশুবোধকে যে সময়ের পত্রের নমুনা রক্ষিত হইয়াছে, সে সময়ে যে বাঙ্গালায় মুসলমান জমাদারের বাহুল্য ছিল তাহ “পত্র লিখিবার ধারা” হইতেই জানা যায়—