পাতা:মহাত্মা কালীপ্রসন্ন সিংহ.djvu/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫిఫి মহাত্মা কালীপ্রসন্ন সিংহ । কেবল মহাভারতের অনুবাদ ও ‘হুতোম প্যাচার নক্সা’র amara, জন্যই কালীপ্রসন্ন বঙ্গসাহিত্যের ইক্তি পুষ্টিসাধনে কালীপ্রসন্ন। হাসে উচ্চ স্থান অধিকৃত করিবেন, সন্দেহ নাই। কিন্তু সাহিত্যক্ষেত্রের আর একটি বিভাগেও র্তাহার যথেষ্ট দাবী আছে। যে নাটকের দ্বারা সহজে সাধারণ্যে লোকশিক্ষা বিস্তৃত করা যায়, যে নাটকের অভিনয় দ্বারা জাতিকে উন্নত করা যায়, সেই নাটকের দ্বারা বঙ্গভাষাকে পুষ্ট করিবার জন্য কালীপ্রসন্ন যে চেষ্টা পাইয়াছিলেন, তাহা সাহিত্যের ইতিহাসে সুবর্ণ অক্ষরে লিখিত হওয়া উচিত। কালীপ্রসন্নের পূর্বে বাঙ্গালী ভাষায় উল্লেখযোগ্য নাটকের একান্ত অভাব ছিল। ভারতচন্দ্রের ‘চণ্ডী নাটক, পঞ্চানন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘রমণী’ ও ‘প্রেম’ নাটক, রামগতি কবিরত্বের ‘মহানাটক, তারাচরণ সিকদারের ‘ভদ্রার্জন', এমন কি, রামনারায়ণ তৰ্করস্ট্রের 'কুলীন-কুল-সৰ্ব্বস্ব’ও অভিনয়ের জন্য রচিত হয় নাই। কোনও কোনও গ্রন্থকার ইংরাজি নাটকের আদর্শে বাঙ্গালা নাটক লিখিতে প্রয়াস পাইয়াছিলেন। ১৮৫২ খ্ৰীষ্টাব্দে হরচন্দ্র ঘোষ সেক্সপীয়রের The Merchant of Venice অবলম্বন করিয়া “ভানুমতী-চিত্তবিলাস” নামে যে নাট্যগ্রন্থ প্রণয়ন করেন, তাহা বঙ্গীয় পাঠকসমাজে বিশেষ সমাদর লাভ করিতে পারে নাই। বিদেশী নাটক আমাদের জাতীয় রুচিসঙ্গত নহে বলিয়া কালীপ্রসন্ন বাঙ্গাল সাহিত্যের মূল উৎস সংস্কৃত সাহিত্যের প্রতি দৃষ্টিপাত করিলেন। তিনি