পাতা:মহাত্মা কালীপ্রসন্ন সিংহ.djvu/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

هو لا ভাল দেখিলে হতোম দুঃখিত হয় নাই। যে খনিগণ কোন প্রকার সৎকার্য্যে যোগ না দিয়া কেবল fবলাসে ব্যসনে অর্থব্যয় করিতেন—নবভাবের স্রোত খাবাদের গৃহের ও হৃদয়ের প্রাচীরে প্ৰহত হইয়া ফিরিয়া আসিত ; যাহাদের ব্যবহারে আন্তরিকতার একান্ত অভাব ও কৃত্রিমতার পূর্ণ পরিচয় পরিস্ফুট ছিল ; র্যাহারা কপটতার আবরণে হীনতা আবৃত করিয়া লোককে প্রতারিত করিতে চাহিতেন-‘হুতোম’ তাহণদের স্বরূপ প্রকাশ করিয়া দিত। তিমিরাবগুষ্ঠিতা রজনীর সূচীভেদ্য অন্ধকারে স্থতোমের রব শুনিয়া মানব যেমন ভয় পায়, "ছতোমের' কথায় এই ভণ্ডসম্প্রদায়ে তেমনই ভীতির সঞ্চার হইত। কালীপ্রসন্ন যে খনিসম্প্রদায়ের কপটতার পৃষ্ঠে কশাঘাৎ করিয়াছিলেন, তিনি সেই সম্প্রদায়ে জন্মগ্রহণ করিয়া সেই সমাজেই বদ্ধিত হইয়াছিলেন। সুতরাং সেই সমাজস্থ তাহার আঘাতের লক্ষ্য বক্তিবর্গের আচারব্যবহার তাহার নিকট সুপরিচিত ছিল ; তাহাদের প্রকৃতি তিনি নখদর্পণে দেখিতেন। এ অবস্থায় আক্রমণ একটু অতি মাত্রায় তীব্র হওয়া বিস্ময়ের বিষয় নহে। যুদ্ধঘোষণা করিয়া সমরের উত্তেজনার মধ্যে তীক্ষ বাণগুলি তুণীরে রাখিয়৷ যুদ্ধ করা সকল সময় সম্ভব হয় না। সুতরাং আক্রমণের তীব্রতার জন্য কাশীপ্রসন্নকে নিন্দা করা যায় না। ‘হুতোমের ভাষা ও ভাব উভয়েরই কারণ এক। ‘হুতোম’ সমাজে যেমন কৃত্রিমতার ও কপটাচারের বিপক্ষে যুদ্ধঘোষণা করিয়াছিলেন, সাহিত্যেও তেমনই কৃত্রিমতার ও কপটাচারের বিরুদ্ধে অস্ত্ৰধারণ করিয়াছিলেন। তিনি যে সম্প্রদায়ের ভাষার কৃত্রিমতার বিরুদ্ধে যুদ্ধঘোষণা করিয়াছিলেন, সে সম্প্রদায় সংস্কৃতবিদ্যাভিমানী। সে সম্প্রদায়ের পরিচয় বঙ্কিমচন্দ্ৰই দিয়াছেন—“আমি নিজে বাল্যকালে ভট্টাচাৰ্য্য