পাতা:মহাত্মা গান্ধীর কারাকাহিনী - অনাথ নাথ বসু.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কারাকাহিনী।
১১

বলিয়া মনে করিতেন তাহা পূর্ণ ভাবে দূর করিবার ব্যবস্থা করিতেন। কখনও বা ডেপুটি গভর্ণর ও আসিতেন, তিনিও বেশ সদাশয় ব্যক্তি ছিলেন। কিন্তু সকলের চেয়ে ভাল, সুশীল ও মিশুক ছিলেন আমাদের প্রধান দারোগা। তিনি নিজে খুব ধার্ম্মিক ছিলেন। তিনি আমাদের প্রতি খুব ভাল ও ভদ্র ব্যবহার করিতেন। তাই সকলেই মুক্ত কণ্ঠে তাহার গুণ গান করিত। কয়েদীরা যাহাতে তাহাদের অধিকার পুরাপুরি ভোগ করে সেদিকে তাঁহার সর্ব্বদাই দৃষ্টি ছিল এবং তাহাদের ছোট খাট অপরাধ তিনি মার্জ্জনা করিতেন। আমাদের নিরপরাধ বিবেচনা করিয়া আমাদের যথেষ্ট স্নেহ করিতেন। নিজের সহানুভূতি প্রকাশ করিবার জন্য তিনি কতবার আমার নিকটে আসিয়া কথাবার্ত্তা বলিয়া যাইতেন।

ভারতবাসী কয়েদীদের সংখ্যা বৃদ্ধি

 বলিয়াছি যে প্রথমে আমরা পাঁচজন মাত্র সত্যাগ্রহী কয়েদী ছিলাম। ১৪ই জানুয়ারী মঙ্গলবার প্রধান পিকেট মিঃ থম্বী নায়ডু ও চায়নীজ অ্যাসোশিয়নের অধ্যক্ষ মিঃ কবীন জেলে আসিলেন। তাঁহাদের দেখিয়া সকলেই প্রীত হইল। ১৮ই জানুয়ারী আরও ১৪ জন আসিলেন। তাঁহাদের মধ্যে সমুন্দর খাঁও ছিলেন। তাঁহার দুই মাস কারাবাসের দণ্ড হইয়াছিল। বাকি ১৩০ জনের মধ্যে মান্দ্রাজী, কানমীয়া ও গুজরাতী হিন্দু ছিলেন। তাঁহারা বিনা লাইসেন্সে ফেরী করার অপরাধে ধৃত হইয়াছিলেন। তাঁহাদের ২ পাউণ্ড জরিমানা হইয়াছিল, এবং জরিমানা দাখিল না করিলে ১৪ দিন জেলের আদেশ হইবে এই নিয়ম ছিল। তাঁহারা সাহস করিয়া জরিমানা না দিয়া জেলে আসিলেন। ২১শে জানুয়ারী মঙ্গলবার আরও ৭৬ জন আসিলেন। তাঁহাদেরই মধ্যে নবাবখাঁও ছিলেন। তাঁহার প্রতি