পাতা:মহাত্মা গান্ধীর কারাকাহিনী - অনাথ নাথ বসু.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২
কারাকাহিনী।

দুইমাস জেলের আদেশ হইয়াছিল। অন্যান্য সকলের ২পাউণ্ড জরিমানা বা ১৪ দিন কারাদণ্ডের আদেশ হইয়াছিল। তাদের মধ্যে কানমিয়া ও মাদ্রাজীও ছিলেন। ২২শে জানুয়ারী বুধবার আরও ৩৫ জন আসিয়া পড়িলেন। ২৩ শে ৩ জন, ২৪ শে ১ জন, ২৫ শে ২ জন, ২৮ শে সকালে ৬ জন ও সেই দিন সন্ধ্যার সময় আরও ৪ জন আসিলেন। ২৯ শে আরও চারজন কানমীয়া আসিয়া পড়িলেন অর্থাৎ ২৯ শে জানুয়ারী পর্যন্ত সর্ব্বশুদ্ধ ১৫৫ জন সত্যাগ্রহী কয়েদী ওখানে আসিয়া জুটিয়া ছিলেন। ৩০ শে জানুয়ারী বৃহস্পতিবার আমাকে প্রিটোরিয়ায় (ট্রান্সভালে) লইয়া যাওয়া হইল, আমার মনে হয় সেদিনও ৫৬ জন কয়েদী আসিয়া ছিলেন।

আহার।

 ভোজনের সমস্যা এমনি যে সকলেরই এ বিষয়ে বারবার চিন্তা করা উচিত। কিন্তু কয়েদিদের সম্বন্ধে বিশেষ করিয়া এবিষয়ে মনোযোগ দেওয়া উচিত। তাঁহাদের মধ্যে অধিকাংশেরই হয়ত জল খাওয়া অভ্যাস। খাওয়া সম্বন্ধে এই নিয়ম আছে বে জেলের ভিতর যাহা কিছু পাওয়া যায়, তাহাই খাইতে হইবে। বাহূিরের কিছু চলিবে না। সৈনিকদের যে খাদ্য মেলে, তাহাই খাইতে হয়। কিন্তু কয়েদী ও সৈনিকদের অবস্থায় যথেষ্ট পার্থক্য। সৈনিকদিগের ত তাহাদের ভ্রাতৃবন্ধুরা জিনিষ পাঠাইতে পারে এবং তাহা তাহারা গ্রহণ করিতেও পারে, সে সম্বন্ধে কোন নিষেধ নাই। কিন্তু কয়েদিরা অন্য কিছু লইতেই পারে না, কারণ সে বিষয়ে বিশেষ নিষেধ আছে। জেলে একটা প্রধান অসুবিধা-খাওয়ার কষ্ট। কথাবার্ত্তায় প্রায়ই জেলের অধ্যক্ষ বলেন, জেলে আবার মুখের স্বাদ কি? সুস্বাদু দ্রব্য জেলে দেওয়া হয় না। যখন জেলের ডাক্তারের সহিত আমার কথাবার্ত্তার