পাতা:মহাত্মা গান্ধীর কারাকাহিনী - অনাথ নাথ বসু.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কারাকাহিনী।
২৫

জন্যই আসেন, এই কারণে দারোগার অনুপস্থিতিতে আমার সহিত কথাবার্তা বলিবার বিশেষ আদেশ তিনি পাইয়াছিলেন। প্রথমবার কার্টরাইট্ সাহেব জানিয়া গেলেন যে ভারতীয়েরা কি চায়? কোন্ সর্ত্তে তাহারা রাজি হইতে পারে। দ্বিতীয়বার সাক্ষাতের সময় তিনি অন্যান্য ইংরেজ ভদ্রলোক সঙ্গে করিয়া আনেন। তাঁহার সঙ্গে ছিল একখণ্ড লেখা কাগজ— একতারনামা বা স্বীকার-পত্র। উহা আবশ্যকমত স্থানে স্থানে পরিবর্ত্তন করিয়া লইলে মিঃ কবী, মিঃ নায়ডু এবং আমি তাতে নাম স্বাক্ষর করিলাম। এই কাগজ এবং স্বীকার-পত্র বিষয়ে “ইণ্ডিয়ান ওপিনিয়ান” ও অন্যান্য কাগজে অনেক লেখালেখি হয়, সুতরাং এখানে সে বিষয়ে সবিস্তার বর্ণনা করিবার আবশ্যক নাই। চীফ‍্ম্যাজিষ্ট্রেট মিঃ প্লেফোর্ডও একবার দেখা করিতে আসেন। তাঁহারও সর্ব্বদাই দেখা করিবার অধিকার ছিল। তবে তিনি বিশেষ করিয়া আমার সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসিয়াছিলেন, কি আমাদের সকলকে জেলখানায় দেখিবার জন্য একবার আসিলেন, তাহা বলিতে পারা যায় না।

ধর্ম্মশিক্ষা।

 বর্তমান কালে পাশ্চাত্য দেশে কয়েদীদের ধর্মশিক্ষা দেওয়ার প্রথা দেখা যায়। জোহান্সবার্গ জেলে কয়েদীদের জন্য পৃথক গীর্জ্জাঘর আছে। তাহাতে শুধু শ্বেতাঙ্গ কয়েদীই যাইতে পারে। আমি নিজের জন্য এবং মিঃ ফোর্টুনের জন্য বিশেষ অনুমতি চাহিয়াছিলাম কিন্তু গভর্নর বলিলেন, এ গীর্জ্জাঘরে শুধু শ্বেতাঙ্গ ক্রিশ্চানেরই প্রবেশাধিকার আছে। প্রত্যেক ব্যবিবার শেতাঙ্গ কয়েদীরা সেখানে যায় এবং ভিন্ন ভিন্ন পাদরী ধর্ম্ম শিক্ষা দিতে থাকেন। কাফ্রিদের জন্যও বিশেষ অনুমতি লইয়া অনেক