পাতা:মহাত্মা গান্ধীর কারাকাহিনী - অনাথ নাথ বসু.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩০
কারাকাহিনী।

মিঃ সোরাবজী, অড়াচনীয়া প্রভৃতি অন্যান্য ভ্রাতৃবৃ্ন্দ মিলিয়া প্রায় ২৫ জন ছিলাম। তখন রমজানের মাস সুতরাং মুসলমান ভ্রাতৃবৃন্দ রোজা পালন করিতেছিলেন। তাঁহাদের জন্য বিশেষ অনুমতি লইয়া সন্ধ্যাবেলায় মিঃ ইসপ সুলেমান কাজীর বাড়ী হইতে খাদ্য আসিত। এইজন্য তাঁহারা শেষ পর্যন্ত রোজা পালন করিতে পারিয়াছিলেন। বাহিরের জেলে আলোর বন্দোবস্ত ছিল না। তাই রমজানের জন্য আলো ও ঘড়ী রাখিবার অনুমতি পাওয়া গেল। সকলেই মিঃ আঙ্গলিয়ার পরে নমাজ পাঠ করিতেন। প্রথমে রোজারক্ষণকারীদের পরিশ্রমের কাজ দেওয়া হইয়াছিল, কিন্তু পরে তাঁহাদের আর এরূপ কাজ করিতে হয় নাই।

 অবশিষ্ট যে কয়জন ভারতবাসী কয়েদী ছিলেন তাঁহাদের আপনাদের খাদ্য বন্ধন করিবার অনুমতি ছিল। সুতরাং মিঃ উমিয়াশঙ্কর শেলত ও মিঃ সুরেন্দ্র নাথ মেড়ে, এই দুইজনকে এই কাজের ভার দেওয়া হইল। পরে কয়েদীদের সংখ্যা বাড়িয়া গেলে তখন মিঃ জোশীকে সঙ্গে দেওয়া হইল। ইঁহারা যখন দেশ হইতে বহিষ্কৃত হইলেন তখন এই কাজ মিঃ রতণজী সোঢ়া, মিঃ রাঘবজী, এবং মিঃ মাওজী কোঠারীকে করিতে হইল। পরে যখন কয়েদী অনেক বাড়িয়া গেল, তখন মিঃ লাল ভাই এবং মিঃ উমর উসমানও এই কাজে লাগিলেন। রন্ধনকারীদের রাত ২।৩ টার সময় উঠিতে হইত এবং সন্ধ্যা ৫।৬ টা পর্যন্ত এই কাজে লাগিয়া থাকিতে হইত। যখন অধিকাংশ কয়েদীকেই ছাড়িয়া দেওয়া হইল, তখন রন্ধন করিবার ভার মিঃ মুসা ইউসফ, ইমাম সাহেব এবং মিঃ বাওয়াজীর লইলেন। যিনি ভারতীয় আহমদীয়া ইসলামিক সোসাইটীর সভাপতি এবং বড় ব্যবসায়ী ছিলেন, এবং যাঁহার কোন দিনই রুটী তৈয়ারী করিবার প্রয়োজন হয় নাই, তাঁহার হাতের অন্ন এই ভাবে যে পাইয়াছিল তাহাকে আমি ধন্য বলিয়া মনে করি। যখন ইমাম সাহেব এবং তার সঙ্গী মুক্তি