পাতা:মহাত্মা গান্ধীর কারাকাহিনী - অনাথ নাথ বসু.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩২
কারাকাহিনী।

সময় কয়েদীদের বন্ধ করা হইত, এবং সকালে ছয়টার সময় দরজা খুলিয়া দেওয়া হইত। দরজায় তালা দেওয়া হইত, সুতরাং কোন কয়েদীর পায়খানা ইত্যাদি যাইবার প্রয়োজন হইলেও বাহিরে যাইতে পারিত না। কুঠরীর ভিতরেই এই কাজ সারিবার জন্য ফিনাইল দেওয়া পাত্র রাখা হইত।

আহার।

 আমি বোকসরষ্টের জেলে গিয়া দেখিলাম, ভারতীয় কয়েদীরা প্রাতে ‘পূপূ’ ও দ্বিপ্রহরে এবং সন্ধ্যায় ভাত ও তরকারী পাইত। তরকারীর মধ্যে আলুই বেশীর ভাগ। ঘির সহিত মোটই সম্পর্ক ছিল না। যাহারা বিনাশ্রমে দণ্ডিত হইয়া জেলে ছিল তাহার পূর্ব্বোক্ত আহার্য্য ছাড়া প্রাতে ‘পূপূ’র সঙ্গে এক আউন্স চিনি ও দ্বিপ্রহরে কিছু রুটি পাইত। বিনাশ্রমে দণ্ডিত কয়েদীদের অনেকেই সশ্রম কারাবাসে দণ্ডিত কয়েদীদিগকে আপনাদের চিনি ও রুটি হইতে কিছু কিছু ভাগ দিত। কয়েদীদের দুই দিন মাংস খাইবার কথা, কিন্তু তাহাতে হিন্দু বা মুসলমান কাহারও লাভ হইত না, সুতরাং তাহার পরিবর্ত্তে আমাদের অন্য কিছু পাওয়া উচিত ছিল এবং ইহার জন্য আমরা আবেদন করিয়াছিলাম। তাহার পর হইতে মাংসের দিনে আমর এক আউন্স ঘি ও কিছু ‘বীন’ পাইতে লাগিলাম। তা ছাড়া জেলের বাগানে একপ্রকার তরকারি আপনা হইতে হইত, তাহা ব্যবহার করিবার অনুমতি পাওয়া গিয়াছিল। সময় সময় বাগান হইতে পিঁয়াজও আনিবার সুবিধা দেওয়া হইত। সুতরাং ঘি ও ‘বীন’ পাওয়ার পরে আমাদের আহার সম্বন্ধে আর উল্লেখযোগ্য কোন অভিযোগ থাকিল না। জোহান্সবর্গের জেলে ভোজনের অন্য প্রকার ব্যবস্থা;