পাতা:মহাত্মা গান্ধীর কারাকাহিনী - অনাথ নাথ বসু.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫২
কারাকাহিনী।

 বোকসরষ্টে কখন ফিরিয়া গেলাম, তখন দেখি, ভারতীয় কয়েদীদের চেহারা বদলাইয়া গিয়াছে। ৩০ জনের স্থানে ৭৫ জন হইয়াছে। এই জেলে এতগুলি কয়েদীর স্থান ছিল না, তাই আটটি বাসা তৈরী করা হইয়াছিল। রাঁধিবার জন্য প্রিটোরিয়া হইতে উনন আসিল। জেলের পাশে নদী ছিল, কয়েদীরা সেখানে স্নান করিতে পারিতেন; তখন তাঁহার কয়েদী বলিয়া মনে হইত না, মনে হইত যেন সিপাহীরাই স্নান করিতেছে, সেটা যেন জেলখানা নয়, সত্যাগ্রহ আশ্রম। দারোগা কষ্ট দিতেছে কি সুখ দিতেছে তাহা ভাবার সময়ই জুটিত না। বাস্তবিক পক্ষে, অধিকাংশ দারোগাই মোটের উপর সজ্জন ছিল। মিঃ দাউদ মহম্মদ সকল দারোগারই একটা না একটা নাম রাখিয়াছিলেন, কাহাকেও ডাকিতেন “উকলী”, কাহাকে বা “মকুটী”। এইরূপ প্রত্যেকেরই পৃথক পৃথক নাম ছিল।

দেখা সাক্ষাৎ

 বোকসরষ্ট জেলে দেখা করিবার জন্য ভারতবাসী অনেকেই আসিতেন। মিঃ কাজী ত প্রায়ই আসিতেন এবং কয়েদীরা কিসে আনন্দে থাকে তাহার ব্যবস্থা তিনি খুবই করিতেন। অন্য যাহারা দেখা করিতে আসিত তাহাদের যাহাতে দেখাশোনার সুযোগ হয় সেজন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিতেন। মিঃ পোলক কার্যোপলক্ষে প্রতি সপ্তাহেই দেখা করিতে আসিতেন। নেটাল হইতে মিঃ মহম্মদ ইব্রাহিম ও মিঃ খরসানী কংগ্রেসের প্রধান শাখার চাঁদা আদায়ের জন্য বিশেষ ভাবে আসিয়াছিলেন। ইদের