উপক্ৰমণিকা । (t
কর্তৃক উদ্ভাবিত। প্রথমে রাজ রামমোহন রায় ইহার স্বত্রপাত করেন ; পরে অক্ষয়কুমার দত্ত ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ইহার বর্তমান উন্নত অবস্থা করিয়া তুলেন। এই প্রদেশবাসীরাই চণ্ডীর গান, যাত্র, কীৰ্ত্তন, গাছরামায়ণ প্রভৃতির আদর্শ প্রদর্শন করেন। অঙ্কবিদ্যার জ্যোতিঃও ঐ পার হইতে এই পারে বিকীর্ণ হয়। কারণ এ প্রদেশে যে সকল পাঠশালা ছিল, তাহার গুরুমহাশয়ের প্রায়ই পশ্চিম পারবাসী ছিলেন।” রাজা রামমোহন রায় ভাগীরথীর পশ্চিমকুল্লবৰ্ত্তা রাঢ়ভূমির অন্তর্গত রাধানগর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।
ইংলণ্ডে অবস্থানকালে রামমোহন রায় তাহার জনৈক ইংরেজ বন্ধুকে একখানি পত্রে নিতান্ত সংক্ষেপে আত্মচরিত লিথিয়া পাঠাইয়াছিলেন । আমরা নিম্নে সেই পত্ৰখানি অনুবাদ করিয়া দিলাম।
রামমোহন রায়ের স্বলিখিত সংক্ষিপ্ত জীবনী । “প্রিয়বন্ধু,
“আমার জীবনের সংক্ষিপ্ত বৃত্তান্ত আপনাকে লিখিয়া দিবার জন্য আপনি আমাকে সৰ্ব্বদাই অনুরোধ করিয়াছেন । তদন্তসারে আমি আহলাদের সহিত আমার জীবনের একটি অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত বৃত্তান্ত আপনাকে লিখিয়া দিতেছি।
“আমার পূর্ব পুরুষেরা উচ্চশ্রেণীর ব্রাহ্মণ ছিলেন। স্মরণতীত কাল হইতে র্তাহারা তাহাদিগের কৌলিকধৰ্ম্ম সম্বন্ধীয় কৰ্ত্তব্যসাধনে নিযুক্ত ছিলেন। পরে প্রায় একশত চল্লিশ । বৎসর গত হইল, আমার অতিবৃদ্ধ প্রপিতামহ ধৰ্ম্ম সম্বন্ধীয়
পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত.djvu/১০
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
