পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহান পুরুষদের সান্নিধ্যে করিতে বাধ্য হন । বিগত জীবনের প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া রাজনারায়ণ অনুভব করিলেন যে, সুরার পায়ে তিনি তঁাহার স্বাস্থ্য ও অর্থ দুইই বিসর্জন দিয়াছেন। যে মুহুর্তে এই বেদনাদায়ক অনুভূতিটি জাগিয়া উঠিল সে মুহুর্তে তিনি আজীবন-সহচর মদ্যকে বর্জন করিলেন-ক্ষণেকের জন্যও ইতস্ততঃ করিলেন না। এ সময়ে যে কেহ তাহার নিকট যাইত তাহাকেই নিজের অকাল বাৰ্দ্ধক্যের দৃষ্টান্ত দিয়া বলিতেন-মদের উপাসনা করে জীবনের শেষ প্ৰান্তে যে বিষময় ফল লাভ করেছি। তার নিদর্শন হচ্ছে আমার এ অত্যাচার ক্লিষ্ট দেহটা। যৌবনের উচ্ছ জ্বল জীবনযাত্রাব সমুচিত প্রতিফল পেয়েছি—এব জন্য কাকে আর দোষ দেব ? তবে নিজের জীবনের বিনিময়ে যে অভিজ্ঞতা লাভ করেছি তা থেকেই বলছি, ওই বস্তুটি যেন কখনও তোমরা স্পশ ক’রো না । প্ৰত্যেকটি বাক্যের সহিত যেন তাহার জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতায় সুস্পষ্ট আভাস পাইতাম । তঁহার নিকট হইতে অহরহ এষ্টকরূপ সব কথা শুনিযাই মদ্যপান ও অমিতাচারী জীবনযাত্ৰা সম্পর্কে আমার বিতৃষ্ণা ও ভীতি জন্মিয়া যায়। ইংরেজি শিক্ষা ও সভ্যতার হাওয়া তখন শিক্ষিত বাঙ্গালী সমাজের নিজস্ব সংস্কৃতিকে প্ৰায় অপাংক্তেয় করিয়া তুলিয়াছে। বাঙ্গালী সন্তান বাংলা না জানাকে তখন গৌরবের বিষয়ঃ বলিয়া & 8