পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাজনারাযণ বসু বিদ্যাসাগর, মহর্ষি দেবেন্দ্ৰনাথ ঠাকুর, ব্ৰহ্মবান্ধব কেশব সেন প্ৰমুখ মনীষীদের মধ্যে ও কম আলোড়নের সৃষ্টি করে নাই । অনেকে সেদিন তা হার এ বাংলা ভাষা-প্ৰীতির দ্বারা প্ৰভাবিত श्घ्री डेलेन । ইতিপূর্বে ব্ৰাহ্মসমাজে মন্দিরের উপাসনা ইংরেজিতে পঠিত হইত, কিন্তু এ ঘটনার পর সে প্রথা পরিবত্তিত হইল। সে সময়ে মাতৃভাষায় বক্ততা দিবার মত দক্ষ ব্যক্তি নিতান্ত কম ছিলেন না, কিন্তু ইংরেজি সভ্যতার মোহ এবং উন্মাদ নায় শিক্ষিত সমাজ তখন প্ৰমত্ত । এই পরিবেশে কেহ সাহস করিয়া প্ৰকাশ্যভাবে বাংলাভাষাকে মৰ্য্যাদার স্থান দিতে অগ্রসর হন। নাই । রাজনারায়ণবাবুই সর্বপ্রথম এই পথ প্রদর্শন করেন এবং ইহার পর হইতেই প্ৰাঞ্জল বাংলা ভাষায় বক্তৃতা দানের রীতি বাংলার শিক্ষিত সমাজে প্ৰচলিত হয় । শ্রদ্ধেয় রাজনারায়ণ বসু যে কেবল নি ভীক দেশপ্রেমিক ছিলেন তাহাই নয়, তঁহার অন্তরটিও ছিল কোমল এবং সহানুভূতিপূর্ণ। একবার একটি অতি সঙ্কটপূৰ্ণ সময়ে আমি র্তাহার যে সংস্কারমুক্ত, স্নেহ কোমল মনের পরিচয় পাই তাহাই এখানে প্রকাশ করিতেছি। সে সময়ে ব্ৰাহ্মবিবাহ বিল পাশ লইয়া ব্ৰাহ্ম সমাজে দুইটি বিরোধী দলের সৃষ্টি হয় । রাজনারায়ণ বসু তখন আদি ব্ৰাহ্ম সমাজের সভাপতি । তিনি ব্ৰাহ্মবিবাহ বিল পাশের বিরুদ্ধে তীব্ৰ