পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহান পুরুষদের সন্নিধ্যে আরম্ভ হয় তাহ প্ৰকাশ করা বোধ হয় অপ্রাসঙ্গিক হইবে না । কেশব সেনের প্রবত্তিত ব্ৰাহ্মসমাজে তখন অন্তদ্বন্দ্ব আরম্ভ হয় । নারীশিক্ষা ও নারী প্ৰগতিকে কেন্দ্ৰ করিয়া তাহার প্ৰবৰ্ত্তিত সমাজ ক্রমে দ্বিধাবিভক্ত হইয়া গেল । কেশব সেন ইংলণ্ড হইতে ফিরিয়া আসূিয়া, একটি নারীশিক্ষালয় প্ৰতিষ্ঠা করেন। আমি সেই শিক্ষাকেন্দ্রের শিক্ষকরূপে নিযুক্ত হই। অতি-প্ৰগতিপন্থী সদস্যেরা কেশববাবুর নারীশিক্ষাকেন্দ্ৰ প্ৰতিষ্ঠাতে সন্তুষ্ট হইতে পারিলেন না । তাহার। বলিলেন-বৰ্ত্তমান শিক্ষাকেন্দ্ৰে নারী স্বাধীনতা ও শিক্ষাদান পদ্ধতি অত্যন্ত সীমাবদ্ধ করা হইয়াছে। ইহার প্রতিবিধানকল্পে র্তাহারা আর একটি নারীশিক্ষাকেন্দ্ৰ প্ৰতিষ্ঠিত করিলেন । এ বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা পূর্বোক্ত শিক্ষালয় অপেক্ষা আরও ব্যাপক করা হইল। এই অতি-প্ৰগতিপন্থীদের অধিনায়ক ছিলেন দুর্গামোহন দাস ও দ্বারকানাথ গাঙ্গুলী। অল্পকাল পরেই আর এক সমস্যা দেখা দিল । এ সময়ে একদল সদস্য বলিতে সুরু করিলেন, মহিলা সভ্যদের সমাজের সাধারণ অনুষ্ঠানগুলিতে পদার বাহিরে বসিতে দিতে হইবে। সে সময়ে ব্ৰাহ্মী-সমাজের অনুষ্ঠানে মহিলাদের পদার অন্তরালে বসিবার ব্যবস্থা ছিল । কেশব সেন ও তাহার অনুগামী ভক্তেরা প্ৰথমতঃ এই আন্দোলন সমর্থন করেন নাই। ফলে, বিরুদ্ধদল সমাজ-মন্দিরে আসা বন্ধ করিয়া দেন এবং স্বতন্ত্র স্থানে সাপ্তাহিক উপাসনার ব্যবস্থা করেন । or